ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু

ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু

যশোরের কেশবপুরে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি নদীর কচুরিপানার অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। কেশবপুর প্রেসক্লাবের পাশে অবস্থিত ব্রিজের পাশ থেকে ওই কচুরিপানা অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ আতিয়ার রহমান। এ কাজ শুরু করায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদ ও খোজাখালে প্রায় দুই যুগ ধরে কচুরিপানা জমে থাকার কারণে নদ ও খাল সংলগ্ন বিলের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। এছাড়া পানি আবদ্ধতার কারণে এলাকায় এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়েছে ব্যাপক হারে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে যশোর জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসক কচুরিপানা অপসারণের জন্য জেলার ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ দেন। ওই বরাদ্দ পেয়ে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫০ জন শ্রমিক দিয়ে হরিহর নদ থেকে উৎপত্তি খোঁজাখালি খালের কচুরিপনা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরকেন্দ্রীক হরিহর ও বুড়িভদ্রার কচুরিপনা অপসারণ করা হবে। গত দু’দিনে ১৭ ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধির অন্যতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয় শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কচুরিপনায় আবদ্ধ নদ-নদীগুলো। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে হরিহর নদ সংলগ্ন বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও ওয়াদুদ গাজী বলেন, প্রায় ২৪ বছর হরিহর নদ ও খোঁজাখালে কচুরিপানায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনসহ মশা, সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

কেশবপুর পৌরসভার ১-নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, সম্প্রতি এলাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেনকে অবহিত করা হয়। তিনি (ইউএনও) জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতায় খোঁজাখালি খালের কচুরিপানার অপসারণের উদ্যোগ নেন। খোঁজাখালির উৎপত্তিস্থল থেকে মধ্যকুল স্লুইস গেট পর্যন্ত কচুরিপনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আহসানুল মিজান রুমী বলেন, গত দু’দিনে ১৭ ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, কেশবপুর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদনদী কচুরিপনায় আবদ্ধ হয়ে পড়ায় এডিস মশা বংশবিস্তার করছে। শুধু আবদ্ধ নয়, পরিষ্কার পানিতেও এডিস মশা জন্মায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, ডেঙ্গু বিস্তার রোধে হরিহর নদ থেকে উৎপত্তি খোঁজাখালি খালের কচুরিপনা অপসারণ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদীর কচুরিপনা অপসারণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত