ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৫০ বছরেও হয়নি লাকসামের তারাপুর-ইছাপুকুরিয়া সড়ক

৫০ বছরেও হয়নি লাকসামের তারাপুর-ইছাপুকুরিয়া সড়ক

দীর্ঘ ৫০ বছরেও পাকাকরণ হয়নি কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তারাপুর-ইছাপুকুরিয়া রাস্তাটি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জন চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে জমে যায় পানি। কাদায় যানবাহনতো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করতে পারে না এলাকাবাসী। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন সরকারি অর্থ তাহলে যায় কোথায়? দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

তারা বলেন, সরকারের এডিপি, এলজিএসপি, টিআর-কাবিখাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন তহবিল থেকে এসব রাস্তা করার কথা। বাকই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অবস্থা দেখে মনে হয়, সেখানে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরেজমিন দেখা যায়, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে সংযোগ উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি।

তারাপুর-গাজীপুর গ্রাম দিয়ে ইছাপুকুরিয়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয় এ রাস্তাটি। রাস্তার পূর্বদিকে রয়েছে গ্রামীণ একটি হাট-বাজার, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন ও মসজিদ। উত্তরদিকে আঞ্চলিক সড়ক। পশ্চিমদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

রাস্তার দুই পাশে রয়েছে শত শত পরিবারের বসবাস। এছাড়াও ছয় গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ চলাচল করে এ রাস্তায়। চলাচল করে অটোরিকশা, রিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পাকাকরণ হয়নি রাস্তাটি। তারাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মোবারক হোসেন বলেন, নির্বাচনের সময় রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থীরা। নির্বাচন চলে গেলে আর তাদের চোখে দেখা যায় না। এই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দুটি মাদ্রাসা রয়েছে।

ছোট শিশুরা লেখাপড়া করতে গিয়ে অনেক সময় পা পিছলে কাদায় পড়ে গিয়ে বইখাতা, কাপড়চোপড় নষ্ট করে ফেলে। সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ থাকে। যারা পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে শহরে চাকরি করেন, তারা কোনো সময়ই গ্রামের বাড়িতে আসেন না। কারণ একটাই, রাস্তাটির বেহাল অবস্থা।

ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল (আবুল) সঙ্গে। এ রাস্তাটি কোড নাম্বার ভুল হয়েছে। তবে নতুন করে সংস্কারের জন্য অনুমোদন পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত