ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বীরেশ্বরের দোকানের সিঙ্গারা খেতে হয় সিরিয়াল দিয়ে

বীরেশ্বরের দোকানের সিঙ্গারা খেতে হয় সিরিয়াল দিয়ে

মুখরোচক খাবার হিসেবে সিঙ্গারার বেশ কদর রয়েছে। তবে সিঙ্গারার জন্য ক্রেতাদের সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু নাটোর শহরে বীরেশ্বর নামে একটি সিঙ্গারার দোকান রয়েছে। যে দোকানে সিঙ্গারা খেতে হলে সিরিয়াল আগে দিতে হয়। চুলা থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। ঠান্ডা হওয়ার আগেই ফুরিয়ে যায় সব সিঙ্গারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকে ক্রেতাদের চাপ। শুধু নাটোর নয়, বিভিন্ন জেলার মানুষ সিঙ্গারা খেতে আসেন এ দোকানে। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ দোকান ৩/৪ হাজার সিঙ্গারা বিক্রি হয়। দোকানে নারীসহ ৯ কর্মচারী রয়েছেন। ১৯৫৮ সালে প্রয়াত বীরেশ্বর ঘোষ নাটোর শহরে সিঙ্গারার দোকান চালু করেন। সেই থেকে তার নামেই বীরেশ্বরের সিঙ্গারার দোকান নামে পরিচিত। ৬৫ বছরে ধরে চলছে এই বীরেশ্বরের দোকান। এতো দিনেও সিঙ্গারার গন্ধ ও স্বাদ রয়েছে আড়ের মতোই অতুলনীয়। এত বছরেও এতটুকুও স্বাদ কমেনি। ফলে বছরের পর বছর ধরে সুনাম ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। বীরেশ্বরের মৃত্যুর পর দুই সন্তান হাল ধরেন। বীরেশ্বরের সিঙ্গারার দোকান চিনেন না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। দোকান কর্মচারী গৌ সরকার বলেন, আমি অনেক বছর থেকে এ দোকানে সিঙ্গারা বিক্রির কাজ করি। সিঙ্গারা চুলা থেকে নামানোর আগে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অনেক মানুষ সিঙ্গারা না পেয়ে ফিরে যান। এ দোকানের সিঙ্গারার সুস্বাদু আর গুণগত মানের কারণে এর চাহিদা প্রচুর। সিঙ্গারার চাপ থাকায় অনেক সময় আমরা অর্ডার নিতে পারি না। অনেক ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হয়। প্রয়াত বীরেশ্বর ঘোষের ছোট ছেলে প্রবেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমার বাবা বীরেশ্বর ঘোষ আজ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগে শহরে সিঙ্গারার দোকান করেন। তখন থেকে এ দোকান সুনামের সঙ্গে চলছে। বাবার মৃত্যুর পর আমরা দুই ভাই দোকান চালু রেখেছি। আমাদের দোকানের অনেক ক্রেতা, আমরা অনেক সময় ক্রেতাদের চাপ সামাল দিতে পারি না। অনেকে সিঙ্গারা না পেয়ে ফিরে যান। শুধু নাটোরের মানুষ নয়, বহু দূরের মানুষ আমাদের দোকানের সিঙ্গারা খেয়ে প্রশংসা করে। অনেক দূর থেকে শুনে সিঙ্গারা ও চপ খেতে আসেন। ফলে দীর্ঘ এত বছরেও সুনামের সঙ্গে এ দোকান চলছে। বীরশ্বরের বড় ছেলে বিষ্ণপদ ঘোষ বলেন, আমাদের দোকান অনেক পুরোনো। আমরা সেই পাকিস্তানি আমল থেকে সিঙ্গারা তৈরি করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত