ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অভয়নগরে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ

বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের
অভয়নগরে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমাহর। যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধু আমন ধানের পাতার সবুজ রং দোলায় দুলছে বিস্তীর্ণ মাঠ। মাঠের পর মাঠ সবুজ ফসলে ছেয়ে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। কৃষানকৃষানির মুখে হাসি ফুটবে। নবান্নের উৎসবে মেতে উঠবে প্রতিটা কৃষকের বাড়ি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর আমন ধান চাষে ৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষাবাদ বেড়েছে। এরই মধ্যে আগাম জাতের আমন ধান ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, ব্রি-৩২, ব্রি-৪৯ সহ বেশ কয়েকটি আগাম জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। এছাড়াও ব্রি-১১, গুটি স্বর্ণা, ব্রি-৩০, ব্রি-৩৯ ধানের চাষ করেছে কৃষকরা। উপজেলার ৬০০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে ব্রী-৭৫ ও ব্রী-৮৭ ধান বীজ দেওয়া হয়েছে। এবং প্রতিজনকে ১০ কেজি এমওপি, ১০ কেজি ডিএপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০০ জনকে হাইব্রিড ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। ধানের সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগবালাই হচ্ছে মাজরা পোকা ও বাদামি ফড়িং এবং গোড়াপচা রোগ। ধানে পোকা মাকড়ের আক্রমণও দেখা গেছে বেশ। মাজরা পোকা, পামরী পোকা, বাদামি ফড়িংসহ বিভিন্ন পোকার দেখা দিয়েছে। এ জন্য বালাই নাশক স্প্রে করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে অন্য অন্য রোগগুলো এবার কম হওয়ায় বেশ ভালো ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমের প্রথমদিকে বৃষ্টিপাত কম হলেও শেষ দিকে এসে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাম্পের (বরিং) পানি দিয়ে অনেককে সেচ দিতে দেখা গেছে।

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের ঠিকমতো পরামর্শ নেয়ার জন্য পাওয়া যায় না। কীটনাশকের দোকানদারদের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের রোগবালাই দমন রাখার চেষ্টা করছি। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ফসলে খরচ একটু বেশিই হচ্ছে। উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কৃষক প্রদীপ শীল বলেন, এবছর বৃষ্টি দেরিতে ও কম হওয়ায় বীজতলা তৈরি করতে এবং ধান রোপণে দেরি হয়েছে। ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় পাম্পের পানি দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। প্রথমদিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়েছে। সারের দাম আগের তুলনায় বেশি। ফলে খরচ একটু বেশি হয়েছে। তারপরেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসল ভালো হবে। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। বিশেষ করে ভবদহ অঞ্চলের জমিগুলাতে চাষ বেড়েছে। বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় বীজতলা ও ধান রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তারপরও ফসল বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা রাখছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত