ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুঠিয়ায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের হিড়িক

পুঠিয়ায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের হিড়িক

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এর উদ্যোক্তা। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে ‘মৌখিক সমঝোতা’ করে ফসলি খেতের মাটি কাটছেন তারা। পরে তা নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা ‘সমঝোতা’ করে পুকুর কাটার কথা স্বীকার করেছেন। তবে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যেখানে-সেখানে পুকুর খনন করায় ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে কমছে ফসলের উৎপাদন। তা ছাড়া পুকুরের মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলায় গ্রামীণ সড়ক ও খেতের সীমানাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০২২ সালের জরিপের বরাত দিয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খ ম জামাল উদ্দিন জানান, পুঠিয়ায় কৃষিজমির পরিমাণ ৯ হাজার ৬২৯ হেক্টর। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭০ হেক্টরে পুকুর খনন হয়েছে। এসব পুকুর খননের জন্য কৃষি অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেলপুকুর ইউনিয়নের বেলপুকুর গ্রামে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমন। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কাচুপাড়া এলাকায় কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৭০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে খননকাজ শুরু করেছেন পচামাড়িয়া ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান।

ভালুকগাছি ইউনিয়নে ২০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছেন জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জুয়েল হোসেন। নন্দনপুর এলাকায় ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছেন ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর আলম। পুকুর খননের বিষয়ে সুমনউজ্জামান সুমন বলেছেন, তিনি এর সঙ্গে জড়িত না। দলের কিছু ছেলেপেলে পুকুর খনন করছে। সাইদুর রহমান বলেছেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত