ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বন্যার পানি নামতেই স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

বন্যার পানি নামতেই স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে তিন দফা বন্যায় উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতিভাঙা, চরআমখাওয়া ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। শেষ দফা বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেলেও রাস্তাঘাটের পাশাপাশি ২৮৭ হেক্টর জমির রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নামতেই ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারো ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ৩৫ হাজারের অধিক কৃষক ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করেন। এর মধ্যে ৪৭৪ হেক্টর জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়। দ্রুত পানি নেমে গেলেও ২৮৭ হেক্টর জমির রোপা আমন সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ৫ হাজার ১৫০ জন কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েন। সর্বমোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮৪ টাকা। তবে বন্যায় রোপা আমনের ক্ষতি হলেও শেষ সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। বীজতলা থেকে আমনের বীজ সংগ্রহ করে আবারো রোপা আমনের চারা লাগাচ্ছেন তারা। এতে ফলন কম হলেও ক্ষতির একটা বিরাট অংশ উঠে আসবে বলে আশা তাদের। তবে অর্থের অভাব ও বীজ সংকটে অনেকে চারা লাগাতে পারছেন না বলেও জানা গেছে। চরহাতিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেক নামে এক কৃষক বলেন, তিন বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলেন তিনি। এতে ব্যয় হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু বন্যায় সেই আমন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ক্ষতি পুষিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সময় লাগবে তার। কিন্তু বীজ সংকটের কারণে পুনরায় চারা লাগাতে পারছেন না তিনি। তার মতো এ অঞ্চলের অনেক কৃষকের ফসল বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের সবার একই অবস্থা। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর আজাদ জানান, এই বন্যায় কৃষকের ২৮৭ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত