নিখোঁজের ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি শেরপুরের ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. আল্পনার আক্তারের (২২)। নিখোঁজ শিক্ষার্থী আল্পনা উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফাকরাবাদ গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল করিমের মেয়ে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সে। থানায় দায়ের করা জিডির আবেদন ও নিখোঁজের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল্পনা তার নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছিল। এ সময় আল্পনার মা ও তাদের এক শিশু পাশেই বসা ছিলেন। বাচ্চাটি ঘুমিয়ে পড়লে আল্পনার মা ওই শিশুকে ঘরে রেখে আসতে চায়। পরে শিশুটিকে ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে রেখে মিনিট দশেক পরে বাইরে এসে আল্পনাকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করে। এতে কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন শনিবার আল্পনার বাবা মো. আব্দুল করিম ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আল্পনার বাবা আব্দুল করিম জানান, গত রোববার রাত আনুমানিক রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকায় চাকরিরত আমার জামাতার কাছে আমার মেয়ে আল্পনা অপরিচিত এক মোবাইল থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য কয়েক মিনিট কথা বলা অবস্থায় সংযোগটি বিচ্ছিন্নসহ ওই মোবাইলটি বন্ধ করে ফেলে। এ সময় আল্পনা তার দুলাইভাইকে জানায়, অপরিচিত দুইজন লোক মোটরসাইকেলযোগে তার নাকে কিছু একটা দিয়ে ঝিনাইগাতী হয়ে শেরপুরের দিকে নিয়ে গেছে। বর্তমানে সে একটি আবদ্ধ ঘরে এক মহিলার পাহারায় রয়েছে। তবে জায়গাটি ঠিকানা সে বলতে পারেনি। আল্পনার মোবাইলে ব্যবহৃত ০১৩১৪-০৯৬৬২১ ও ০১৯২৪-৭৯৩৯৭৮ নম্বরটি শুরু থেকেই বন্ধ দেখাচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশে অপহরণ করেছে। তিনি তার মেয়েকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপরদিকে আল্পনা নিখোঁজের পর তার পুরো পরিবার মানুষিক দুশ্চিন্তাই ভেঙে পড়েছেন। ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা সম্পন্ন কালো বর্ণের লম্বাটে মুখমণ্ডলের আল্পনার সেদিন পরনে ছিল লাল রংয়ের ছাপা সালোয়ার কামিজ। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, নিখোঁজ আল্পনাকে খোঁজে পেতে তারা কাজ করছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আল্পনার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
