মুরাদনগরে খাল দখল করে পাকা স্থাপনা

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. আরিফুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করে ¯’ায়ী ¯’াপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যক্তি মালিককে খালের ওপর ¯’াপনা নির্মাণে প্রশাসনের অনুমতি থাকায় ¯’ানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলেছে কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়, ¯’ানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের গোলকশাহর বাড়ির পাশে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের মুরাদনগর মৌজার ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খাল রয়েছে। সেই খালের চারিদিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মাণ করছেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যক্তি। তবে তার দাবি, যাতায়াতের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা খালের ওপর ড্রেন নির্মাণ করছি। ¯’ানীয়দের অভিযোগ, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যব¯’া নি”েছ না সংশ্লিষ্টরা। একটু বৃষ্টি হলেই মাস্টারপাড়া এলাকার প্রায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়। খালের এই অংশটিও যদি দখলদারদের দখলে চলে যায়, তখন মাস্টারপাড়া এলাকাটিতে ¯’ায়ী জলাবদ্ধতার তৈরি হবে। প্রণবেশ রায় দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি সরকারি খাল, আমরা কেন খাল দখল করব! বাড়িতে যাতায়তের সুবিধার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খালের ওপর ড্রেন নির্মাণ করছি। মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থেই সরকারি খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আমাদের শর্তের বাহিরে ব্যক্তিস্বার্থে ড্রেন নির্মাণ করলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ওই এলাকায় খালের উপর দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে, যা সরকারি আইডিভুক্ত নয়। জনস্বার্থে চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়তের জন্য কিছু শর্তসাপেক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে খালের ওপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়। কিš‘ ব্যক্তিস্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। তিনি আরো বলেন ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে দেখে খালের উপরে চার পাশের টিনের বেষ্টনী খুলে ফেলা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।