ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি

কেশবপুরে বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি

যশোরের কেশবপুরে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় গ্যাসের সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার কোথাও সরকারি দামে বিক্রি করা হচ্ছে না। বিপণনকারী কোম্পানি ভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। যে যত বেশি দাম বলছেন, ক্রেতারা সেই দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় বাজারে গ্যাসের সিলেন্ডার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু গত সোমবার ওই মূল্যে কেশবপুর বাজারে গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি। সেনা এলপি গ্যাস, বিএম এলপি গ্যাস, ওমেরা এলপি গ্যাসসহ বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে ১ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়েছে। আর বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। কেশবপুর উপজেলার বাগদহা গ্রামের মফিজুর রহমান নান্নু বলেন, তিনি বসুন্ধরা গ্যাস ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। খতিয়াখালী বাজারে জয়েন্ট ট্রেডার্সে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে যান মানিক মোদক। তার নিকট ১ হাজার ৭০০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন। মজিদপুর গ্রামের আবদুল হক, পৌর শহরের আলতাপোল এলাকার হাবিবুর রহমান, আলমগীর হোসেন বলেন, বাজারের বিভিন্ন দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করতে যান। তাদের নিকট ১ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বেশি দাম চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত করার পরে কেশবপুরের ৪০ জন্য গ্যাস ব্যবসায়ী নতুন করে কমিটি গঠন করেছেন। একজন ব্যবসায়ী জানান, অযথা ভ্রাম্যমাণ আদালত করে হয়রানি করা হলে তারা কেশবপুরে গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দেবেন। গ্যাসের সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর শহরের অন্যতম ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন বলেন, তারাও গ্যাসের সিলিন্ডারের বাজারে চলা অস্থিরতার বিষয় বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। তারা যেসব ডিলারের নিকট থেকে গ্যাস কেনেন, তারা কোনো রশিদ দিচ্ছেন না। সরকারি মূল্য ছাড়াও অনেক বেশি দামে তাদের গ্যাস কিনতে হচ্ছে। ফলে সরকারি মূল্যে তারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন, সেনা এলপি গ্যাস গত আগস্ট মাসে সরকারি মূল্য ছাড়াও তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, তারা গ্যাসের সিলিন্ডারের বাজার নিয়মিত তদারকি করছেন। সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে যাতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি না হয়, সে বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত