লালমনিরহাটে জলাবদ্ধতায় চাষাবাদ ব্যাহত

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

অতি বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে গেলেও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার চারটি গ্রামের কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ জমিতে চাষাবাদ করতেন প্রায় ৩০০ চাষি। এখন তাদের হাহাকার অবস্থা। অভিযোগ উঠেছে খাস জমি দখল করে প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করায় বন্ধ হয়েছে পানি নিষ্কাশন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বরাবর লিখিত অবেদন দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বছরজুড়ে পানিতে তলিয়ে থাকে চারটি গ্রামের ৬০০ বিঘা কৃষিজমি। ফলে এখানকার কৃষকরা জমিতে আমন, আউশ, বোরোসহ কোনো ফসলই ফলাতে পারছেন না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগী চাষিরা। সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব দৈলজোড় গ্রামের ৩০০ চাষি জলাবদ্ধতার কারণে তাদের নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।

স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ওই এলাকার সরকারি খাসজমি লিজ নিয়ে মাছচাষ করার ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। দীর্ঘ ১০বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি আর বন্যার কারণে এসব জমিতে পানি ঢুকে পড়ে। আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ৬০০ বিঘা কৃষি জমিতে স্থায়ী জলাব্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চাষিরা কোনো চাষাবাদই করতে পারছেন না। অনেকেই আমন চাষ করলেও তা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ধানে দেখা দিয়েছে পঁচন। চাষাবাদ করতে না পেরে কৃষি নির্ভর এসব মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল গফুর, শফিকুল ইসলাম, মহির উদ্দিন, ইসরাফিল, মিজানুর রহমান জানান, তাদের জমিতে আগে অনেক ভালো ফসল চাষ হতো। কিন্তু বর্তমানে জমিগুলো পানিতে ডুবে থাকায় এখন কোনো ফসল হচ্ছে না। আমরা কয়েকশ’ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শতাধিক চাষি লিখিত অবেদন দিয়েছেন জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগে। অবিলম্বে আটকে যাওয়া পানি নিষ্কাশন ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি চাষিদের। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান জানান, জমিগুলোর পানি নিষ্কাশনের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।