কেশবপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বাঁশের চার

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে দীর্ঘ ৩০ বছরের বুড়িভদ্রা নদী পারাপারে পাচারই খেয়াঘাট নামে পরিচিত। বর্তমানে বাঁশের চার হিসেবে পরিচিত। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের চার দিয়ে বুড়িভদ্রা নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বাঁশে ঝুলে নদীপার হওয়ার দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাচারই গ্রামে পাচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাচারই টি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয় দুটিতে নদীর ওপারের বসুন্তিয়া গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। ৩০ বছর ধরে পাচারই খেয়াঘাট নামে পরিচিত নৌকায় পার হয়ে ওই স্কুলে যাতায়াত করত। নৌকার মাঝি মারা যান প্রায় ১ বছর হবে। পরে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করেন। শিক্ষার্থীদের পারাপারে ঝুঁকি হওয়ায় বাঁশের চার তৈরি করা হয়। সরেজমিনে দেখা দেখা যায়, ওই গ্রামের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত পাচারই সরকারি প্রাথমিক ও টিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় দুটির ৫০ থেকে ৬০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বুড়ভদ্রা নদীর ওপারে বসুন্তিয়া গ্রামে। ওই শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া বাঁশের চার দিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বাঁশের চার দিয়ে স্কুলে যাতায়াতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পাচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বাস শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পাচারই খেয়াঘাট নামে পরিচিত। আগে নৌকায় পার হয়ে স্কুলে আসত স্কুলের ছেলেমেয়েরা। গত ১ বছর আগে নৌকার মাঝি মারা যাওয়ার পর স্থানীয়দের নিয়ে বুড়িভদ্রা নদীর ওপার বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। কিন্তু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় গত ৬ মাস আগে বাঁশের চার তৈরি করা হয়। বর্তমানে সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের চার দিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে হচ্ছে।