বগুড়ায় সড়ক ভেঙে ভোগান্তি

দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বগুড়া সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নে গত বন্যায় ভেঙে যায় পাকা সড়ক। এতে করে কাজলা ইউনিয়নের সঙ্গে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন ও মানিকদাইড় বাজারের সঙ্গে বিভিন্ন বাজারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সরজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়া সারিয়াকান্দি চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব পাশে দুটি কালভার্টের পাশে পাকা সড়ক গত বন্যায় ভেঙে গেছে। ফলে কালভার্ট দুটির দুই পাশে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গে কাজলা ইউনিয়নের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেও বন্যার স্রোতে রাস্তা ভেঙে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকেরদহ গ্রামের ২০ হাজার, টেংরাকুড়া গ্রামের ১০ হাজার, মানিকদাইড় গ্রামের ১২ হাজার, টেংরাকুড়া গ্রামের ৩০ হাজার গ্রামবাসী প্রতিনিয়ত নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়ে চলাচল করছেন। এখানে মানিকদাইড় বাজার থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার পরে নব্বইয়ের চর বাজার, দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কটাপুর বাজার, ২ কিলোমিটার দক্ষিণে আনন্দ বাজার এবং আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণ শাহজালাল বাজারের একটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। যা সরাসরি সারিয়াকান্দি মাদারগঞ্জ ঘাট বা জামালপুর জেলার সঙ্গে সংযুক্ত। গত বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে এসব সংযোগগুলো এখন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে পূর্ব সারিয়াকান্দির ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়ে চলাচল করছেন। মানিকদাইড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, মানিকদাইড় বাজারের সব ব্যবসায়ী তাদের মালামাল জামালপুর জেলা সদর থেকেই নিয়ে আসে। জামালপুরের সঙ্গে সংযোগের প্রধান রাস্তাটি মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব পাশে ভেঙে যাওয়ায় আমরা যানবাহনে মালামাল বাজারে নিয়ে আসতে পারছি না।

ভাঙন এলাকা পর্যন্ত যানবাহন এসে মালগুলো নেমে দিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আমরা মাথায় করে মালগুলো বাজারের দোকানে নিয়ে যাই। এতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাকেরদহ গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এলাকার পাশে গ্রামবাসী তাদের যানবাহনগুলো রেখে পায়ে হেঁটে বাজারে যান। কৃষকরা তাদের ফসলাদি এবং গৃহপালিত গবাদিপশু ঘাড়ে করে পারাপার করেন। এতে প্রতিদিনই ভাঙন এলাকায় নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। সড়কটি দ্রুত মেরামত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে গতকাল সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, এর মধ্যেই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। খুব দ্রুত একটি প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো মেরামত করতে বলা হয়েছে। আমরাও ভাঙা সড়ক দ্রুত মেরামতের বিষয়ে কাজ করছি।