বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-ভাঙচুর

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার জারুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। হামলায় গুরুতর আহত আসাদুজ্জামান (৩২), শাহিনুর বেগম (২১) ও রুহুল আমিন (৬৫) শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছে। বাদী জারুল ইসলাম ও ফাতেমা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। এদিকে পুলিশ ভুক্তভোগী বাদীকেই আটক করে আজ আদালতে প্রেরণ করেছে। এ নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী জারুল ইসলামদের জীবনের নিরাপত্তাসহ দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে নুরু মিয়া গংরা বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে রামদা, লোহার রড, কোড়াল, শাবল, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে জারুল ইসলাম গংদের উপর। বাধা দিতে গেলে দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমসহ বাড়িতে উপস্থিত পাঁচজনকে আহত করে। এ সময় তারা জারুল ইসলামদের মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বিবাদীরা ঘরে প্রবেশ করে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মাছ ধরার তিনটি ঝাকি-জাল পানির টিউবওয়েল লুট করে নিয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আসাদুজ্জামান, শাহিনুর বেগম ও রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হামলায় তাদের আনুমানিক ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।