দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী সামলাতে হিমশিম

স্যালাইনের হাহাকার

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকী (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত নরমাল স্যালাইন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে এ স্যালাইন না থাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের বাহিরের ফার্মেসিতে ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। অনেক রোগীর স্বজনদের বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঢাকা থেকে নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়ে চড়া মূল্যে স্যালাইন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নরমাল স্যালাইনের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্যালাইন সরবরাহের কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আ. জলিল শিকদার বলেন, আমার মা সালেহা বেগম ডেঙ্গুতে ও দুই মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৮) এবং সানজিদা আক্তার মুন্নী (১২) টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ৫, ৬, ৭ নং বেডে ভর্তি আছেন ডাক্তাররা আমার মা ও মেয়েদের জন্য স্যালাইন লাগবে জানালে আমি দুমকীতে বিভিন্ন ফার্মেসীতে ছুটাছুটি করেও না পেয়ে অবশেষে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে সংগ্রহ করেছি। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পটুয়াখালীর মৌকরন ইউনিয়নের শাহ আলম হাওলাদার জানান, আমার মেয়ে ও ভাতিজি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নরমাল স্যালাইনের জন্য ব্যবস্থাপত্র দিলে দুমকিতে বিভিন্ন ফার্মেসিতে না পেয়ে অবশেষে পটুয়াখালী থেকে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়ে সংগ্রহ করতে হয়েছে। স্যালাইন সংকটের ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিএম এনামুল হক বলেন, অনেক গরীব অসহায় ও দুস্থ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত জরুরি ভিত্তিতে এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। বিশেষ করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যাওয়ায় নরমাল স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের স্টকে যা ছিল তা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, হাসপাতালে অন্যান্য স্যালাইনের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে কিন্তু নরমাল স্যালাইন না থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। একমাস পূর্বে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর ১ হাজার ব্যাগ ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত নরমাল স্যালাইনের জন্য লিখিতভাবে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশাকরি স্বল্প সময়ে সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, এই ডেঙ্গু মহামারির সময় যদি সমাজের বিত্তশালীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে দ্রুত এর সমাধান সম্ভব।