দেবহাটায় তরমুজ চাষে দূর হচ্ছে বেকারত্ব

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার দেবহাটায় অফসিজন তরমুজ চাষ করে অনেক বেকার যুবক, শিক্ষার্থী ও কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেবহাটা উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই অফসিজন তরমুজের চাষ করে একদিকে যেমন বেকার ও কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন অন্যদিকে নতুন এই কৃষিপণ্য চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ঘেরের জমিতে ভেড়ির পাশে মাচান তৈরি করে এই তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি কোনো জমিরও প্রয়োজন পড়ছে না। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে দুটি প্রকল্পে গত ৩ মাস পূর্বে কৃষক ও বেকার যুবকদের বিনামূল্যে অফসিজন তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। বীজের সঙ্গে সঙ্গে তরমুজের মাচান তৈরি ও সার প্রদান করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাঁচটি প্রদর্শনীসহ ১০ বিঘা জমিতে মোট চারটি জাতের বীজ সেগুলো হলো তৃপ্তি, ব্লাক বেবি, সুগারকুইন ও বাংলালিংক নামের বীজ প্রদান করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১২০ গ্রাম বীজ রোপণ করা যায়। এই অফসিজন তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুঁকছে। এ বছর আশানুরূপ ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগামীতে বেশি করে এই তরমুজ চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের কলেজপড়ুয়া ছাত্র রনি ইসলাম বলেন, সে বেকার থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ তাকে এই অফসিজন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করে। মোস্তাক আহম্মেদের পরামর্শে সে তার নিজস্ব ১ বিঘা জমিতে অফসিজন তরমুজের চাষ করেছে। রনি জানায়, প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষে তার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। সে খুব খুশী এবং আগামী বছর আরো বড় করে সে এই চাষ করবে বলে জানিয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনি সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। এই অফসিজন তরমুজ চাষের পদ্ধতি ও বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করেছেন। দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগামীতে আরো বড় আকারে এই তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।