ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন রুমানা

সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন রুমানা

প্রতিটি নারী তার প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাব সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এই সংগ্রাম উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এমন কি সহায় সম্বলহীন নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন। ঠিক তেমনি এক সংগ্রামী নারী নিজের প্রবল ইচ্ছা শক্তির বলে সমাজকে পরিবর্তনের জন্য অসহায় দুস্থ নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। হ্যাঁ, বলছি রুমানা পারভীন রুমা নামের এক নারীর কথা। তিনি মাগুরা জেলার পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মৃত শামসুল আলমের দ্বিতীয় কন্যা। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় ২০০৫ সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গ্রামের মির আমিরুল ইসলামের ছেলে মীর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। সচ্ছল ব্যবসায়ী স্বামীর সংসারে দুই ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছিল রুমার। হঠাৎ করেই ধস নামে স্বামীর কনফেকশনারি ও ব্রয়লার মুরগির বড় ফার্মের ব্যবসায়। ফলে বেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েন তার স্বামী। যার প্রভাব পরিবারের উপর এসে পড়ে। এ সময় আত্মীয়-স্বজন পরিচিতজন বন্ধুবান্ধব সবাই রুমার পরিবারকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে নিজে কিছু করার মধ্য দিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা মনের মধ্যে জন্ম নেই রুমার। জাগ্রত ইচ্ছার প্রথম ধাপেই রুমা উদ্যোক্তার উপর ২০১৫ সালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে স্বামী ও ভাইবোনদের সহযোগিতায় হাতের কাজ করা নানা পণ্য ঘরে বসে নিজে ও অন্য নারী কর্মীদের দিয়ে তৈরি শুরু করেন। এ সময় তার উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের বড় সমস্যা তার সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন স্থানীয় দুলালমুন্দিয়া বাজারে কসমেটিকের একটি দোকান নিয়ে পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন রুমা। কিন্তু যথেষ্ট পুঁজি না থাকাই ওই ব্যবসাটি ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। মূলধনের অভাবে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, পোশাকের উপর যুব উন্নয়ন থেকে দুইবার নেওয়া প্রশিক্ষণ, বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী থেকে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের উপর নেওয়া প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেভাবে তার জীবনে কাজে আসেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত