ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার কাচারিঘর

বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার কাচারিঘর

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর। নব্বই দশকের আগেও প্রায় সকল গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই ছিল কাছারিঘর। আর এই কাচারি ঘর ছিল গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই কাচারি ঘর সংস্কৃতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে কাচারি ঘর দেখা যায় না। কাচারি ঘর স্থাপিত হয় বাড়ির সামনে ঘাটায়। এতে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ায়। অতিথি, পথচারী, মুসাফির, সাক্ষাৎ প্রার্থী ও বাড়ির ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার ঘর হিসেবে ব্যবহার হতো। এখন আধুনিকতার যুগে গ্রাম বাড়ির সৌন্দর্য কাচারি ঘর সচারচর তেমন চোখে পড়ে না। জানা গেছে, এক সময় গ্রাম-বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থের অভিজাত্যের প্রতীক ছিল কাচারি ঘর। চারচালা টিনের অথবা শনের ছাউনি দিয়ে বাড়ির সামনে তৈরি হতো এ ঘর। কাচারি ঘরে থাকতেন আবাসিক গৃহশিক্ষক (লজিং মাস্টার)। সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। এছাড়া সালিশ বৈঠক গল্প আড্ডা, পথচারী ও মুসাফিরদের বিশ্রামগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো কাচারি ঘর। রামগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি বাড়িতে এখনো ঐতিহ্যবাহী পুরোনো কাচারি ঘর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, চারদিকে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর এখন বিলুপ্ত প্রায়। তারপরও ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য পৌরসভাসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাড়ির সামনে এখনো পুরোনো সংস্কৃতি এ কাচারি ঘর স্মৃতি হিসেবে ধরে রেখেছে। রামগঞ্জের লামচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষের নানা স্মৃতি বিজড়িত এ কাচারি ঘর সত্যই প্রাচীনকালের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তবে কালের বিবর্তনে এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত