রামগঞ্জে পাউবোর সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মাসুদ রানা মনি, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যার ছেলে মো. ফয়েজ। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন রামগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া বাজারের রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পানপাড়া বাজারস্থ রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে একটি দোতলা মার্কেটের নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন লামচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ উল্লার ছেলে ফয়েজ আহম্মেদ। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পানপাড়া বাজারসহ রামগঞ্জ ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও খালের উপর পাকা দোকানপাট ও বহুতল মার্কেট নির্মাণ করলেও যেন কারো কিছুই করার নেই। গত বছরখানেক আগে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. শাকিল বাদী সাবেক চেয়ারম্যার মোহাম্মদ উল্লার ছেলে ফয়েজকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যার ছেলে মো. ফয়েজ জানান, নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশ পেয়ে নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ করব। এ সময় তিনি দাবি করেন, একটি মহল তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিভিন্ন সময় হয়রানি করা হচ্ছে। আমার বাবার লীজের জমিতে তৈরি করা মার্কেট ভেঙে লুটপাট চালানো হয়েছে। লামচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যা জিসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বারবার দখলের বিষয়টি জানালেও অজ্ঞাত কারণে তাদের নিরব ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. শাকিল জানান, কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আমি সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে ফয়েজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। তবে কি কারণে সে মামলা আলোর মুখ দেখেনি সেটা আমি জানি না। তবে অন্য দখলদারদের বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, রামগঞ্জ থানায় এসও শাকিলের অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুখ আহম্মেদ জানান, আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় আছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমি জানি না। তবে অফিসের রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মো. শাহীন ও এসও মো. সাকিল বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।