ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেন্দুয়ায় বিল দখলের পাঁয়তারা!

কেন্দুয়ায় বিল দখলের পাঁয়তারা!

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় স্থানীয় সমবায় সমিতির নামে লিজ নেওয়া সরকারি একটি বিলে হামলা করে বিলে থাকা মাছসহ গোয়ালাঘর, বাঁশ, কাঠ ও গাছের ডালপালা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন নোয়াটিয়া বিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার দিনই বিলের ইজারাদার সরাপাড়া একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সেকুল মিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কামারগাঁও গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে লীজ গ্রহণকারীদের উচ্ছেদ করে বিলটি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে বলেও জানান অভিযোগকারী। অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কামারগাঁও গ্রাম-সংলগ্ন অবস্থিত নোয়াটিয়া বিলটির আয়তন ৪.৩৩ একর। কামারগাঁও গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে খাস কালেকশনের মাধ্যমে সরকারকে নামমাত্র টাকা পরিশোধ করে বিলটি ভোগ-দখল করে আসছিল। কিন্তু অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল উপযুক্ত অর্থ পরিশোধ করে ৩ বছরের জন্য বিলটি লীজ নেয় পার্শ্ববর্তী সরাপাড়া একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। লিজ নেওয়ার পর সরাপাড়া একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজন বিলটিতে শোল, বোয়াল, রুই, কাতল ও শিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। তবে অন্য গ্রামের লোকজন বিল লীজ নেয়ার বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি কামারগাঁও গ্রামের লোকজন। তারা সরাপাড়া একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজনকে বিল থেকে উচ্ছেদ করতে এবং তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে কামারগাঁও গ্রামের লোকজন গত চৈত্র মাসে বিল থেকে একটি খাল কেটে স্থানীয় সাইডুলি হাওরে পানি নামার ব্যবস্থা করে বিলের মাছ বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। গতকাল দুপুরে সরেজমিন গিয়ে এলাকার বাসিন্দাসহ উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। বিলটির ইজারাদার সরাপাড়া একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সেকুল মিয়া বলেন, আমরা বিলটি লিজ নেওয়ার পর থেকেই কামারগাঁও গ্রামের লোকজন আমাদের উচ্ছেদ করতে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। অবশেষে তারা বিলে হামলা করে মাছসহ আমাদের থাকা মালামাল নিয়ে গেছে এবং বিলটি দখলের পাঁয়তারা করছে। কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইছব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিলে আমরা হামলা করে মাছ লুট বা বিলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করিনি। বিলে জমে থাকা জার্মুনি আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ঠেলে রেখেছিল বিল ডাককারী লোকজন। আমরা তা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। আর যে খালটি করা হয়েছে, সেটি সরকারি জমিতে না। আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জমিতেই খাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন বলেন, অভিযোগটি আমরা আমলে নিয়েছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত