বীরগঞ্জে আগাম জাতের আমন কাটা শুরু

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

শস্যভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধানকাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুক্তভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে। আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এর পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন সবজি রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয়।

এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- বিনা ধান ১৭, হাইব্রিড আবতাব-৭০, ব্রি ধান ৭৫, এসি আই ১/২ ও শংকর জাতের ধান। গত বুধবার সকালে উপজেলার সাতোর ইনিয়নের প্রাননগর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক হাইব্রিড শংকর, সিরাজুল ইসলাম বিনা ধান-১৭, ভোগনগর ইউনিয়নের চাউলিয়া গ্রামের খোকন আবতাব-১৭ ধান কর্তন করার সময় বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. কাশেম আলী ও মো. গোলাম মোস্তফা ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন। কৃষকরা জানান, আগাম জাতের আমন রোপণ করে ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৬ থেকে ১৮ মণ ধান হবে বলে তারা আশাবাদী। সুজালপুর ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন-১ একর, মোকসেদুল-১ একর, আরাফাত হোসাইন-১ একর, মারুফ হোসেন- দেড় একরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করা হয়েছে।

কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গোখাদ্য হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা আরো বলেন, প্রতিবিঘার কাঁচা খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, সরিষা ও ফুলকপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি রোপণের প্রস্তুতিও নিয়েছেন।

বীরগঞ্জ হাটের ধান ব্যবসায়ী শাহাজান আলী তারেক রহমান জানান, সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান ৯০০ টাকা করে ক্রয় করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের আগাম আমন ধান ও শীতকালীন ফসল আবাদে সহায়তা, রোগ-বালাই ও দুর্যোগ প্রতিরোধে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।