আলমডাঙ্গায় পল্লি চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টার সময় ব্রিজের পাখার সঙ্গে গলায় রশি ও মুখের ভেতর গেঞ্জি এবং গামছা দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। ব্রিজের পাশেই পল্লি চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও ধাস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। পল্লি চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম (৪০) উপজেলার ডম্বরপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত পল্লি চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম চিকিৎসার কারণে রাত করেই বাড়িতে যেতেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার সময় গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিল। এরপর সে চায়ের দোকান থেকে উঠে চলে যায়। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে ডম্বলপুর-মাধবপুর ব্রিজের পাখার সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। কিছুটা দূরে মোটরসাইকেল ও মাথার টুপিও পড়ে থাকতে দেখে। সেখানে তাকে হত্যার সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে মুখের ভেতর গেঞ্জি ও গলায় রশি বেঁধে ব্রিজের পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, পল্লি চিকিৎসক তৌহিদকে হত্যা করে মুখের ভেতর গেঞ্জি ও গামছা দিয়ে গলায় রশি বেঁধে ব্রিজের পাখার সঙ্গে বুঝিয়ে রেখেছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।