ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে সেচ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা

কেশবপুরে সেচ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা

দুটি (অ-গভীর নলকূপ) সেচ মোটরের মধ্য একটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পত্র দেয়ার বিরুদ্ধে যশোরের কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ও বিএডিসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোরের কেশবপুর থানা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন এক কৃষক। বিজ্ঞ আদালত তার আবেদনটি আমলে নিয়ে দীর্ঘ শুনানি অন্তে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেশবপুর পৌর সদরের ভোগতি নরেন্দ্রপুর এলাকার কৃষক আব্দুল মাজেদের দুটি সেচ মোটরের মধ্যে একটি মোটরের লাইন্সেস বালিতসহ তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি পত্র দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি। এ ঘটনায় আব্দুল মাজেদ সংক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার এবং এলাকার কৃষকদের মাঠভরা আমন ধান বাঁচাতে যশোরের কেশবপুর থানা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এবং বিএডিসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত বাদীর আবেদন ও তার দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে শুনানি শেষে আদালতের নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার আরজিতে কৃষক আব্দুল মাজেদ উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত গেজেট ও প্রজ্ঞাপনের আওতায় ২০০৯ ও ২০১৪ সালে দুটি সেচ মোটরের সংযোগ নেন তিনি। এরপর থেকে নিজের এবং অন্যান্য কৃষকদের প্রায় ৬৯-৭০ বিঘা জমিতে সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে দেশের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর পরপর লাইন্সেস নবায়নসহ হালনাগাদ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধও করে আসছেন তিনি। এরই মধ্যে আব্দুল মাজেদের দুটি (অ-গভীর নলকূপ) সেচ মোটরের মধ্যে একটির লাইসেন্স বাতিল করার জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির দেয়া পত্র, বে-আইনি ঘোষণার জন্য আব্দুল মাজেদ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দাখিল করেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তার সেচ মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ অন্যায়ভাবে যাতে বিচ্ছিন্ন করতে না পারে তারও আবেদন করেন মামলার বাদী। কৃষক আব্দুল মাজেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, কেশবপুর উপজেলা সেচ কমিটি সরকারের সেচ নীতিমালা বহির্ভূত সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে আমার মক্কেলের সেচ মোটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করায় আদালতে মামলা দালিখ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এসএম শাহীন আহসান বলেন, এক ব্যক্তির নামে দুটি সেচ মোটরের সংযোগ দেয়া যাবে না, সেচ নীতিমালায় এমন কোনো বিধান নেই। এছাড়া কোনো কৃষকের বিভিন্ন মাঠে জমি থাকলে তিনি ওইসব স্থানেও সেচ মোটরের সংযোগ নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে উপজেলা সেচ কমিটির সুপারিশ থাকতে হবে। যেহেতু কৃষক আব্দুল মাজেদ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, কৃষক আব্দুল মাজেদ আদালতে মামলা করেছেন কি না তা আমার জানা নেই। এছাড়া আদালতের কোনো নোটিশ এখনো পাওয়া যায়নি। নোটিশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত