লোকালয়ে ঘুরছে হনুমান

সখ্য গড়ছে মানুষের সঙ্গে

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কুজাইল বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে গত দুই-তিন মাস ধরে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান ঘুরে বেড়াচ্ছে। নতুন পরিবেশে এসে হনুমানটি যেমন উদ্বিগ্ন ছিল তেমনই হঠাৎ করে লোকালয়ে আসা বন্যপ্রাণীটিকে দেখে স্থানীয়রাও হয়ে উঠেছিল কৌতূহলী। হনুমানটি যেখানেই যায়, সেখানেই কৌতূহলী এলাকাবাসী ভিড় করে সেটিকে দেখার জন্য। প্রথমদিকে হনুমানটি মানুষের কাছ থেকে দূরে দূরেই থাকত। গাছের ডালে, ঘরের চালে, ভবনের ছাদে ছিল তার বিচরণ। যাদের ঘরের চালে বা ভবনের ছাদে বিচরণ করত, তারাও থাকতেন আতঙ্কে। অনেকেই আবার প্রাণীটিকে তাড়িয়েও দিতেন। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে হনুমানটির সঙ্গে স্থানীয়দের বেশ সখ্য গড়ে উঠেছে। কেউ কেউ আদর করে মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার। স্থানীয়দের ধারণা, খাবারের সন্ধানে মুখকালো হনুমানটি ছুটছে মানুষের বাড়িতে, কখনও গাছের ডালে। হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে এই এলাকায় চলে এসেছে। তবে সে কোথায় থেকে এসেছে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। গত শুক্রবার বিকেলে হনুমানটি ঘোরাফেরা করছিলেন কুজাইল নমঃশূদ্র পাড়ায়। এক পর্যায়ে ক্ষুধার্ত প্রাণীটি ঢুকে পড়েন ওই গ্রামের নরেশ সরকারের বাড়িতে। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন হনুমানটিকে আদর করে আটা গুলিয়ে খাওয়ান। তবে কোনো ক্ষতিও করেনি। এর আগে ওই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে হনুমানটি। এছাড়াও ওই গ্রামের বিকাশ প্রামানিকের বাড়ির ঢুকে বারান্দায় বালতিতে রাখা পানি খেতে দেখা যায়। পরে বাড়িতে থাকা লোকজন হনুমানটির কাছে গিয়ে পানি খাওয়ান। হনুমানটিকে আটা গুলিয়ে খাবার দেওয়া সুশিল সরকার ও সবিতা রাণী বলেন, সাধারণত হনুমান দেখা যায় না। তার ওপর আবার বাড়িতে এসেছে। মূলত খাবারের সন্ধানে এটি মানুষের কাছে ছুটে এসেছে। অবুঝ প্রাণীটি যেহেতু বাড়িতে চলে এসেছে তাই খাবার দিয়েছি। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেধা বসাক বলেন, এলাকায় অনেকবার দেখেছি। আমি কখনো ভাবিনি বাড়িতে চলে আসবে। তাই একটু ভয় পেয়েছি। আবার আনন্দও লাগছে। তাকে দেখার জন্য পাশের সুশীলদের বাড়িতে এসেছি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, হনুমানটি কাউকে কামড় দিলে অবশ্যই তাকে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে। তাই হনুমানটিকে বিরক্ত করা যাবে না। সেই সঙ্গে এর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।