ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি নিয়ে আড়তদার পাইকার বিরোধ

ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি নিয়ে আড়তদার পাইকার বিরোধ

নওগাঁয় পৌর মাছ বাজারের আড়তে ডিজিটাল মিটারে মাছ বেচাকেনা নিয়ে দুইপক্ষের বিরোধ শুরু হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আড়তদাররা ডিজিটাল মিটার চালু করতে চাইলেও পাইকররা তা মানতে নারাজ। ইতোপূর্বে পাইকারি বাজারে একাধিকবার প্রশাসন গিয়ে ডিজিটাল মিটার চালু করার জন্য নির্দেশনা দেয়। সে মোতাবেক গতকাল সকাল ৮টা থেকে আড়তদাররা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করে। জানা গেছে- গত প্রায় ৫০ বছর থেকে নওগাঁ পৌর মাছ বাজারে মাছ বিক্রি হয়ে আসছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২২টি আড়তে মাছ বেচাকেনা হয়। জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকেও মাছ চাষিরা এ বাজারে মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। কাটার পাল্লায় ৪২ কেজিতে মণ হিসেবে আড়তদার বিক্রি করে। এরপর পাইকাররা খুচরা বাজারে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিজিটাল মিটারে নিজেদের মতো মাছ বিক্রি করে। আড়তে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আড়তদাররা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করে। কিন্তু পাইকাররা ডিজিটাল মিটারে মাছ কিনতে নারাজ। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। একে অপরকে দোষারোপ করছেন তারা। নওগাঁ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ও আড়তদার সমিতির উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু গুটিকয়েক পাইকারের কাছে আমরা জিম্মি। চাষিরা মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। তারা একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। পাইকাররা যদি ডিজিটালে বিক্রি করতে পারে আমরা কেন পারব না। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হবে। পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌতম হাওলাদার ভুট্টু বলেন, ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করা নিয়ে কয়েকদিন আগে পাইকারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। অক্টোবরের ১ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু পাইকাররা তা মানতে নারাজ। এখানে ২২টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। পাইকাররা সিন্ডিকেট করছে। নওগাঁ পৌর মাছ বাজার পাইকার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম তোতা বলেন, নিয়ম সবার জন্যই সমান। কোনো সমস্য নেই। আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ কিনছি। আর এখানে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই। বরং আড়তদার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রবিন শীষ বলেন, আড়তদাররা ডিজিটাল মিটার চালু করার জন্য আমাকে অবগত করেছিল। তাদের বলা হয়েছিল জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হলে স্বচ্ছতা থাকে। যেহেতু ডিজিটাল মিটার ব্যবহার নিয়ে নিরুৎসাহিত এবং বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে। তাই দুইপক্ষকে (আড়তদার ও পাইকার) নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানসহ ডিজিটাল মিটার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত