মধুখালীতে ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মন্নু, মধুখালী (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের জারজারনগর গ্রামে বৃষ্টির পানিতে প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি হয়ে ওঠে কাদাপূর্ণ ধুলাবালির। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১নং কামারখালী ইউপির ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের গয়েশপুর, বকসিপুর, আড়পাড়া, জারজারনগর, কসুন্দি গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি কামারখালী বাজার সড়কে মিলিত হয়েছে। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা ও জেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী। গয়েশপুর গ্রামের রাকিবুল বিশ্বাস, জারজরনগর গ্রামের নিহাল সর্দারসহ গ্রামবাসীরা বলেন, এই চরাঞ্চলে প্রায় ৫০০’র আধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু এখান থেকে বাইরে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা তাও পাকা না থাকার কারণে অল্প বৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে। স্থানীয় এক ভ্যানচালক জানান, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে কাঁদা হয়ে যায় তখন আমরা ভ্যান নিয়ে বের হতে পারি না। প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাকা রাস্তায় যেতে হয়। স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, জারজারনগর মন্দির থেকে গয়েশপুর-বকসিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য। এ বিষয়ে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী জানান, রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।