সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার হিড়ক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যের নদী ও খালে চলছে চুক্তিতে মাছ ধরার হিড়িক। হলদেবুনিয়া, পাকড়াতলীর চর, পুষ্পকাঠি, নোটাবেকী, ডিঙ্গিমারী, ইলিশামারী, বালিঝাকী, আঙরা কোনাসহ সর্বত্রই চলছে মাছ আহরণ। কদমতলা স্টেশনের বন প্রহরী সানা রঞ্জন পাল জেলেদের সঙ্গে চুক্তিতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজননের জন্য এসব এলাকার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন প্রহরী সানা রঞ্জন পালের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের অভিযোগ উঠেছে। জেলেরা জানান, কদমতলা অফিস থেকে পাশ নিয়ে বন প্রহরী সানারঞ্জন পালের সঙ্গে চুক্তিতে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করছে।

এজন্য ফাঁস জাল, বেইনজাল, পাটাজাল, বড়শি ব্যবহার করে মাছ ধরছে। হরিনগরের জেলে দাতাল সোহরাব জানান, তার কিছু জেলে সুন্দরবনে রয়েছে যারা কদমতলা অফিস থেকে বৈধ পাশ নিয়ে সাপ্তাহিক চুক্তি করে বনে প্রবেশ করে মাছ ধরে লাভবান হচ্ছে। দাতনেখালীর জেলে মজিদ জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে বেশি মাছ পাওয়া যায় এজন্য কদমতলা স্টেশনের বন প্রহরী সানা রঞ্জন পালের সঙ্গে সাপ্তাহিক চুক্তি করে মাছ ধরি তাতে অল্প সময়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়। সানা রঞ্জন পাল কদমতলা স্টেশনে চাকরিকালীন দুর্নীতির দায়ে পর পর দুইবার প্রত্যাহার হয়।

বিভিন্নভাবে বন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবারো কদমতলায় পোস্টিং নিয়ে পূর্বের ন্যায় তার অপতৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এ ব্যাপারে কদমতলা স্টেশন অফিসারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, সানা রঞ্জন পালের এমন অভিযোগ ইতিপূর্বে যার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে ছিল। এবারো অভিযোগ পাচ্ছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক একেএম ইকবাল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।