ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিলামে ৮৬ হাজার কেজি চা বিক্রি

সম্ভাবনা বাড়লেও কাটছে না চাষিদের হতাশা
পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিলামে ৮৬ হাজার কেজি চা বিক্রি

চা উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল এখন উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র এ জেলায় চা অর্থনীতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন অনলাইনে চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। উদ্বোধনের ১ মাস পর বুধবারে অনুষ্ঠিত প্রথম অনলাইন নিলামে চা বিক্রি হয়েছে ৮৬ হাজার ৫০৮ কেজি; যার গড় মূল্য ১৩২.৪৮ টাকা। চা বোর্ড জানায়, স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালনায় উত্তরাঞ্চলের তিনজন ব্রোকার ও প্রায় ২৫ ক্রেতা নিলামে অংশ নেন। প্রথম দিনে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় উৎপাদিত ৪১৯ লটে ১ লাখ ১৩ হাজার কেজি চা নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হলে বিক্রি হয়েছে ৮৬ হাজার ৫০৮ কেজি চা। প্রতি কেজি চায়ের গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ১৩২ দশমিক ৪৮ টাকা। নিলামে পঞ্চগড়ের এমএম টি এস্টেটের প্রতি কেজি চা সর্বোচ্চ ২১২ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া মলি টি ইন্ডাস্ট্রির প্রতি কেজি চা সর্বনিম্ন ১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে মাসে দু’বার (১৪ দিন পর) এই নিলাম কার্যক্রম হবে। এ দিকে তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র নির্মাণ ও বাস্তবায়ন হলেও হতাশা কাটছে না সমতলের চা চাষিদের। কারখানায় চা পাতার দাম না পেয়ে ক্ষোভে অনেকে কেটে ফেলছেন স্বপ্নের চা বাগান। চাষিদের অভিযোগ, চা পাতার দাম না পেলে নিলাম কেন্দ্র দিয়ে কী হবে। গতকাল চায়ের প্রথম অনলাইন নিলামে চা বিক্রি নিয়ে চাষিরা সুখবর পেলেও তাদের চরম হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অনেক চা চাষিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ফেসবুকে মামুন অর রশিদ নামে একজন লিখেছেন- যখন ধানী ও ফসলি জমিগুলো ভরাট করে চা বাগান করা শুরু করল সবাই, তখনই বলেছিলাম এই চা বাগানই গলার কাঁটা হয়ে যাবে একদিন। তাই হলো। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলের শিল্প অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত