ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টানা বর্ষণে ভেসে গেছে সাড়ে ৬ হাজার পুকুরের মাছ

টানা বর্ষণে ভেসে গেছে সাড়ে ৬ হাজার পুকুরের মাছ

কিশোরগঞ্জে গত দুই দিনের টানা ভারি বর্ষণে ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারির প্রায় ৩৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। অবকাটামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি টাকার। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার সাড়ে ৩ হাজার মাছ চাষি। ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে- শিং, পাবদা, রুই, কাতল, পাঙাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে বলে জানান মাছ চাষিরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট সাড়ে তিন হাজার মৎস্য চাষির ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ১৮০০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও পুকুর ও ফিশারির অবকাটামোগত প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অবকাটামো ও মাছের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার কটিয়াদী উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা। তার মধ্যে কটিয়াদী উপজেলায় ১ হাজার ৯২৫টি পুকুর ভেসে গেছে।

সাকি নামে এক মৎস্য চাষি জানান, ‘এক রাতের বৃষ্টিতেই আমার দুই ফিশারি ডুবে গিয়েছে। পাড় ডুবে উপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। প্রতিটি ফিশারিতে প্রায় তিন-চার লাখ টাকার মতো মাছ ছিল।’ আমিন সাদী নামে এক খামারি জানান, ‘আমার ২৫ শতাংশের একটি ফিশারি ছিল। রাতের বৃষ্টিতে ফিশারির পাড় তলিয়ে সব মাছ চলে গিয়েছে। আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আলীর ৩৬ কাটা জমির বড় ফিশারি ছিল এটাসহ সব তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও এলাকার সব ফিশারি তলিয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো প্রান্তিক মাছ চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সরকার যদি আমাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করে, তাহলে হয়তো আমরা কিছুটা দাঁড়াতে পারব।’ মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, ‘আমার কয়েকটি ফিশারির পাড় তলিয়ে গিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার মতো এলাকার সবার ফিশারিই ডুবে গিয়েছে। এতে কমবেশি সবাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত