ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিলের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

বিলের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, নিচে বিলের কালচে পানির ওপর সবুজের ফাঁকে থরে থরে ফুটে আছে লাল শাপলা। সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিকে ভিন্ন এক রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে যেন রং-তুলির আঁচরে। তাই যেন সৌন্দর্যমণ্ডিত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ও উজিরপুর উপজেলার সাতলার এ লাল শাপলার বিলে পর্যটকদের ভিড় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমন সময়টাতে সপ্তাহের সাত দিনেই ভোর থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে বিস্তীর্ণ লাল শাপলার বিল এলাকা। যে বিলের পানিতে ঘুরে বেড়িয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা। তবে এখানে যে শুধু লাল শাপলা বা প্রকৃতির সবুজ রঙের সমারোহই ঘটেছে এমনটাও নয়, এখানে লাল শাপলার মাঝেই দেখা মিলছে সাদা শাপলা, সাদা বক, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সনিয়া নামের এক তরুণী বলেন, এটা একটি অন্যরকম জায়গা। বিলের পাশ ধরে এগিয়ে চলা সড়কে দাঁড়িয়ে যতদূর চোঁখ যাবে, সবুজের মাঝে রক্তিম আভা হাতছানি দেবে। আর বিলের পানিতে নৌকা নিয়ে এগিয়ে চললে দেখা মিলবে লাল আর সাদা শাপলার সঙ্গে বক, ডাহুক, পানকৌড়ি, দোয়েল, শালিক, মাছরাঙাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, শোনা যাবে তাদের কলকাকলি। এছাড়া দেখা মিলবে মৌমাছিসহ বিভিন্ন ধরনের পোঁকামাকড়ও। এ যেন এক স্বর্গপুরী, যার চারিদিক শিল্পীর নিপুণ হাতে আঁকা চিত্রকর্ম শোভা পাচ্ছে। যদিও বিশ্রামাগারসহ পাবলিক টয়লেটের অভাবে পাশাপাশি বিলে যেতে বেশকিছু সড়কের বেহাল দশা কিছুটা কষ্টও দিচ্ছে পর্যটকদের। তবে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন কাজগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফেসবুকে ও ইউটিউবে লাল শাপলার অনেক ছবি ও ভিডিও দেখে ঘুরতে আসা তরুণ রাকিব বলেন, বিলের পানিতে নৌকায় ভেসে বেড়াতে খুবই ভালো লেগেছে, বার বার এখানে ঘুরতে আসারও ইচ্ছা রয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে প্রকৃতিপ্রেমীরা ঘুরতে আসতে চাইবেন না। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দ্রুতই উন্নয়ন জরুরি। এ বিষয়ে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, সাতলা ইউনিয়নে প্রায় ১১শ’ একক জমি নিয়ে তিনটি শাপলা বিলের স্পট রয়েছে। রাস্তা সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে আশা করি খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ শেষ হবে। তবে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত করাসহ টয়লেট ও যাত্রী ছাউনিসহ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান তিনি। আর বরাদ্দ পেলে শাপলা বিলকে আরো পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের অর্থায়নে ওয়াশব্লকসহ একটি বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আরো বরাদ্দ চেয়েছি। বরাদ্দ পেলে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হবে। আর পর্যটকরা যে সড়ক ব্যবহার করেন সে সড়ক সংস্কারেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত