সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে চুক্তিতে মাছ ধরে টাকা পরিশোধ করার পর বন বিভাগ মাছ চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ছয় জেলেকে আটক করেছে। বন বিভাগের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে আসা জেলে কয়রার মহেশ্বরীপুর গ্রামের শেলিম জানান, নোটাবেকী টহল ফাঁড়ি কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন তার নিজ বাড়ির এলাকা থেকে সব সময় জেলেদের নিয়ে চুক্তি করে মাছ ধরায়। জেলেরা চুক্তির টাকা পরিশোধ করে ইলশিমারী খালে মাছ ধরে ফিরে আসার সময় বনকর্তা সাহাদাৎ হোসেন জানতে পারেন জেলেরা অনেক মাছ ধরেছে। এ সময় সাহাদাৎ হোসেন তাদের ডেকে নিয়ে মাছের অর্ধেক ভাগ চাইলে জেলেরা না দেওয়ায় তারা অভয়ারণ্যে মাছ ধরেছে এমন অভিযোগ এনে জেলেদের আটক করে গত বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছে। তারা হলো কয়রার মহেশ্বরীপুর গ্রামের গফুর সানার ছেলে সিরাজুল ও বাবু, তাদের পিতা গফুর সানা, নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর বিশ্বাস, সাহেব আলীর ছেলে আজাদুল, রহিম সানার ছেলে হাবিবুল। বন বিভাগের কবল থেকে পালিয়ে আসা জেলে শেলিম এ তথ্য দিয়েছে যা বাণীবদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বনকর্তা সাহাদাৎ নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম ইকবাল হাসান বলেন, অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অপরাধে ছয় জেলেকে আটক করে চালান দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা চুক্তিতে মাছ ধরছিল কি না আমার জানা নেই। এ রিপোর্ট লেখার সময় অভিযোগকারী শেলিম বলেন, কাউকে না জানিয়ে যদি ইলশিমারী খালে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযান চালান তবে শত শত অবৈধ নৌকা আটক করতে সম্ভব হবে।