রামগঞ্জে দুর্গাপূজার প্রতিমা কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মাসুদ রানা মনি, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)

দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব সামনে রেখে রামগঞ্জ উপজেলায় কাদামাটি, খড়-কাঠ আর প্রতিমা নিয়েই দিন কাটছে কারিগরদের। নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ শিল্পীদের। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের উৎসব। এরই মধ্যে অনেক মণ্ডপে মাটির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে শিল্পীরা। মূর্তি গড়া শেষে রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমা। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। সনাতন ধর্মবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে হিন্দুপাড়াগুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহাসম্মেলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীয় পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জা। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা। অধিকাংশ মণ্ডপে চলছে কারিগরেরা রং আর সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গার পূর্ণ অবয়ব। বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে মণ্ডপগুলোতে ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জা। শেষ মুহূর্তে চলছে তুলির আঁচড়ে দেবী প্রতিমাকে পূর্ণ রূপ দেয়ার ব্যস্ততা। রং তুলির আঁচড়ে সুনিপুণ ভাস্কর্য। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের সনাতন ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচার, পৌরাণিক কাহিনি ও পার্বণের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মানুষকে সচেতন করার অনন্য আয়োজনে প্রতিমা নির্মাণ। অপরূপ সাজসজ্জা আর আলোর খেলায় তা হয়ে উঠছে মনোমুগ্ধকর। রামগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীর রঞ্জন সাহা জানান, এবার রামগঞ্জে মোট ১৮টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। তবে উপজেলার সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপটি হবে পৌরসভার রতনপুরের বলদেব জিউ-র মন্দিরে। এ উপজেলায় সব ধর্মের লোকের সহযোগিতায় আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়। দুর্গাপূজাসহ সব পূজায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে স্থানীয় লোকজন, থানা ও উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা লক্ষণীয়। রামগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক জানান দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসন তিনস্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।