ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৈরী আবহাওয়ায় নওগাঁয় সবজির খেত নষ্ট

বৈরী আবহাওয়ায় নওগাঁয় সবজির খেত নষ্ট

বৈরি আবহাওয়ায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নওগাঁয় ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছের গোড়া পঁচে যাওয়ায় পঁচামিনা রোগ হওয়ায় কীটনাশক দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যবহৃত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে চাষিরা। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় সবজির খেতে পানি না জমলেও মাটিতে রস বেড়েছে। এতে গাছ মরে যাওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গোড়ায় পচন রোগ। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সবজি চাষিরা। বিশেষ করে আগাম জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, লালশাক, টমেটো ও পেঁপেসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চাষিরা আর্থিকভাবেও ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। বৃষ্টিতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। যদি সবজির খেত নষ্ট হয়ে যায় উৎপাদনে পরিমাণ কম হবে। এতে সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী হবে। কৃষকরা বলছেন- অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শাক-সবজির গোড়ায় পচন ধরেছে। গাছ মরে যাওয়ার পাশাপাশি পঁচামিনা রোগ দেখা দিয়েছে। ফসল রক্ষায় কীটনাশক স্প্রে করছেন তারা। তবে বৃষ্টি অব্যবহৃত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। নওগাঁ সদর উপজেলার বাচারি গ্রামের চাষি মোরশেদ বলেন- আগাম সবজি হিসেবে ১৪ কাঠা জমিতে ২ হাজার পিস ফুলকপির চারা রোপণ করেছি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জমিতে রস বেশি হওয়ায় গাছ মরে যাওয়ার পাশাপাশি গোড়ায় পচন ধরেছে। এতে প্রায় ৫০০ পিস ফুলকপির গাছ মরে যাওয়ায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। অবশিষ্ট গাছ বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ধোপাইপুর গ্রামের চাষী মুসলিম উদ্দিন বলেন- এক কাঠা জমিতে পালংশাক রোপণ করা হয়েছিল। প্রচণ্ড খরার পর পর দুইবার নষ্ট হয়ে যায়। তৃতীয় দফায় আবারো পালংশাক লাগানো হলে চারা গজায়। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পঁচে একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। তিন দফায় প্রায় ৫০০ টাকা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিশ্রম তো আছেই। চাকলা গ্রামের চাষি রিমন হোসেন বলেন- চার কাঠা জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি শুরু আগে মাত্র চার কেজি বেগুন খেত থেকে উঠানো হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে গাছের মাথায় পচন শুরু হয়ে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। যদি বেগুন খেত নষ্ট হয়ে যায়, এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হবে। আবহাওয়া যদি ভালো হয়, তাহলে খেত রক্ষা পাবে। নওগাঁ জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার একেএম মনজুরে মাওলা বলেন- গত কয়েকদিনে জেলায় গড় ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জেলায় প্রায় ১৪৬ হেক্টর জমির শাক-সবজি আক্রান্ত হয়েছে। তবে বৃষ্টির অব্যবহৃত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। ফসল রক্ষায় কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। যেসব গাছ মরে গেছে, সেখানে পুনরায় চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- জেলায় এ বছর বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজির আবাদ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত