কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি বেহাল দশায় পড়ে থাকায় যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না। ঝোঁপঝাড়ে ঘিরে থাকায় এটি ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ লোকজন। ফলে উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজন বাধ্য হয়ে রোদ ও বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রধান গেট থেকে একটি রাস্তা প্রায় দেড়শ’ ফুট দূরে গৌরীপুর-হোমনা সড়কে এসে মিলিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা এবং আশপাশের লোকজন জেলা শহর বা রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াতে এখানে উঠাণ্ডনামা করতে হয়। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রায় ১১ বছর আগে এখানে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে যাত্রী ছাউনিটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নোংরা পরিবেশ ও ঝোঁপঝাড়ে ঘিরে থাকায় এটি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা উলুকান্দি গ্রামের কামরুল হাসান সরকার জানান, সুন্দর দুটি রাস্তার সংযোগস্থলে যে একটি যাত্রী ছাউনি আছে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটি পরিষ্কার থাকলে আমরা বৃষ্টিতে না ভিজে এখানে দাঁড়াতে পারতাম। বাধ্য হয়ে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টির সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটা ধ্রুব সত্য। যাত্রী ছাউনিটি পরিষ্কার থাকলে মানুষ উপকৃত হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। তাৎক্ষণিক আমি এটি পরিষ্কার করি। বর্তমানে আবার এটি ঝোঁপঝাড়ে ঘিরে গেছে। শিগগিরই পরিষ্কার করে যাত্রীদের বসার উপযোগী করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, প্রায় একযুগ আগে এটি জেলা পরিষদের অর্থায়ানে নির্মাণ করা হয়েছিল। আমি সেদিনও দেখেছি এটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মানুষ যাতে এটি ব্যবহার করতে পারে শিগগিরই সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে।