ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাকরির আশা ছেড়ে সফল উদ্যোক্তা সুহাদা জামান

চাকরির আশা ছেড়ে সফল উদ্যোক্তা সুহাদা জামান

উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। পিছিয়েপড়া নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ও উদ্যমী এ সংস্থাটি। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। নারী যখন উদ্যোক্তা হন তখন একটি পুরো পরিবার সচ্ছল হয়ে যায়। সে কাজটি করছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাদের নারী সমাজকে জাগ্রত করতে হবে। টেকসই অর্থনীতি গড়তে উদ্যোক্তা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। প্রান্তিক পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিশ্ব বাজারে পরিচিতি করাতে হবে। একজন নারী উদ্যোক্তা অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবলে নিজেকে সফল হিসেবে এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আইনজীবী গহরজ্জামান মাহবুবের বড় মেয়ে বগুড়া শহরের সুহাদা জামান উচ্চশিক্ষা নিয়ে চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ সমাজে। তিনি উদ্যোক্তা হবেন এটা কখনো ভাবেননি, তবে ভেবেছিলেন নিজে এমন কিছু করবো যেন নারীদের সাহায্য করতে পারি। পুরো পরিবারের সব সদস্যদের মধ্যে নিজেকে অযোগ্য মনে করতেন তিনি। পরবর্তী সময় পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে তার। বাবা-মার উৎসাহে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তার সঙ্গে আলাপকালে জানান, অনলাইন পেইজের মাধ্যমে টাই-ডাইয়ের ও রিসেলার হিসাবে কাজ করতাম, ছবি দিয়ে অর্ডার নিতাম ঢাকা থেকে প্রোডাক্ট পাঠাত আর সেল করতাম। তা থেকে উপার্জন করে সংসারে সহযোগিতা করতাম। এছাড়া কিছু ওয়াল পেপার পেইন্ট, কাপড়ে হ্যান্ড পেইন্টিংয়ের কাজ শুরু করলাম। অনলাইনে অর্ডার শুরু হয়ে গেল। উপার্জনের পথ আরো বেড়ে গেল। উপার্জন করে শুধু নিজেই ভালো থাকার চেষ্টা করি না, অন্যদেরও কাজ দিয়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করি। ধীরে ধীরে ফুড নিয়েও কাজ শুরু করি। কিছু রান্না আগে থেকেও পারতাম। হোমমেড খাবার চিকেন বান নিয়ে প্রথমে শুরু করে ব্যাপক সাড়া পেতে থাকি। এখন শাড়িতে, পাঞ্জাবিতে, সিরামিক মগে, কাঁচের গ্লাসে, আয়নাতে, ওয়ালপেপারে চাঁদরে, জামাতে, মাটির জিনিসে হ্যান্ডপেইন্টিং, মাটি ও কাপড় দিয়ে গহনা তৈরি করে দেশ ও দেশের বাইরের মাটিতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে একান্নবর্তী পরিবারের অনেক সহযোগিতা ছিল। তাদের সহযোগিতায় বর্তমানে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে। গাক যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করছে, তাদের সহযোগিতা আরো বাড়ালে নিজের প্রতিষ্ঠানটি বৃহৎ পরিসরের পাশাপাশি অসংখ্য শিক্ষিত বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারব। প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে যেভাবে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলেছি অন্য নারীদেরও দক্ষ করে গড়তে চাই। শখণ্ডশৌখিন অনলাইন পেইজের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত