শেরপুরে মৃগী নদীগর্ভে বিলীন রাস্তা

৭ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মনিরুজ্জামান রিপন, শেরপুর

শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা মোড় থেকে নন্দীর বাজার হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি মৃগী নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত ৩ দিনে সড়কটির তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ ফিট সড়ক ভঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের। ওই সড়কের পাশাপাশি ওই এলাকার একটি কলাবাগানসহ বেশ কিছু ফসলের জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নদীভাঙন রক্ষায় বেশ কয়েকবার মাটি ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। তাই গ্রামবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি সাধারণ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ কমাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যেন দ্রুত ভাঙ্গন রোধ করা হয়। জানা গেছে, শেরপুর পৌর সভা সীমানা বরাবর বয়ে গেছে গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা মৃগী নদী। এ নদীতে সাধারণত খুব বেশি পানি থাকে না। তবে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে এলে এ নদী চিত্র পাল্টে যায়। নদী উপচে পানি প্রবাহের সঙ্গে বয়ে চলে প্রবল বেগের স্রোত। ফলে নদী দুইকুলেই দেখা দেয় ভাঙন। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত শুক্রবার থেকে কড়ইতলা-নন্দীরবাজার সড়কের তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ ফুট কাঁচা সড়কটি নদীগর্ভে চলে যায়। ফলে ওই সড়কে অটো, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই সড়কে চলাচলরত ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এখনই নদীভাঙন ঠেকানো না গেলে আশপাশের আরো জমিজমা ও ক্ষেত-খামার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানায়, আমি এরইমধ্যে কয়েক দফা ভাঙন রোধে মাটি ফেলে চেষ্টা করেছি কিন্তু পানির তোড়ে তা কুলায়নি। তাই বিষয়টি আমি ইউএনও, ডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, নদীভাঙ্গনের বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এ বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হককে মুঠোফোনে এবং অফিসে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত নদীভাঙ্গন রোধ এবং সড়কটির বিকল্প ব্যবস্থা করে স্থানীয় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাবে এমনটিই আশা করছে গ্রামবাসী।