মেহেন্দিগঞ্জে ভয়াবহ নদী ভাঙন

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বরিশাল জেলা সদর থকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর দিকে অবস্থিত এবং সর্বাধিক নদী পরিবেষ্টিত উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ। মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনাসহ সাতটি নদীর তীব্র ভাঙনে গোটা উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদীর তীরবর্তী হাজারো পরিবারে নির্ঘুম রাত কাটছে। ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরঘেঁষা বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা। সীমিত হয়ে আসছে উপজেলার মানচিত্র। চলতি বর্ষায় সাতটি নদীর অব্যাহত ভাঙনে আটটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার বসতভিটা, ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শত শত একর ফসলি জমি, পাকা রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান- মেঘনা, কালা বদর, গজারিয়া, তেঁতুলিয়া, মাস কাটা, ইলিশা ও লতা নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ৫নং মেহেন্দিগঞ্জ ইউনিয়ন, উলানিয়া, গোবিন্দপুর, দড়িচর খাজুরিয়া, জয়নগর, ভাষানচর, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, আলীমাবাদ ও শ্রীপুর ইউনিয়ন। এখানকার মানুষের বড় দুর্যোগ নদীভাঙন। প্রকৃতির নিষ্ঠুর খেয়ালের কারণে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে বিপন্ন। জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, গজারিয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে তার ইউনিয়নের পাঁটটি ওয়ার্ড নদীতে বিলীন হতে চলছে। বিলীন হয়েছে ৩ শতাধিক বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হুমকির মুখে চরহাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাদের আলী স্মৃতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমানেরহাট বাজার। রহমানেরহাট লঞ্চঘাট এলাকায় সরকারি বরাদ্দে এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তা ৬ মাসের মাথায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৪-৫ কোটি টাকার পাকা রাস্তা বিলীন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। চরগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল বারী মনির জানান, তেঁতুলিয়া নদীতে তার ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে, দুটি ওয়ার্ডের ৭০ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ২ শতাধিক বসতভিটা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র দ্বিতল ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে লেঙ্গুটিয়া মুসলিম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লেঙ্গুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী ভাঙন রোধে ৬০০ ফিট জিওব্যাগ ফেলানো হয়। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।