ঘাটাইলে ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  খাদেমুল ইসলাম মামুন, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে পুকুর, ফসলের মাঠসহ নিচু এলাকার ছোট-বড় বিভিন্ন সড়ক। ফলে পুকুরের মাছ ভেসে যাচ্ছে লোকালয়ে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। মাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। বুকভরা হতাশা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কাটছে দিন। উপজেলার ধলাপাড়া, আশারিয়াচালা, রসুলপুর, সাগরদিঘি, লক্ষিন্দর ও ফটিয়ামারিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাছ চাষিদের অনেক পুকুর ডুবে গেছে। ভেসে যাচ্ছে চাষ করা সব মাছ। রুই কাতল, চিতল, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সিং, সরপুঁটি ও মাগুরসহ বিভিন্ন জাতের মাছ ভেসে যাচ্ছে লোকালয়ে। কলার বাগান ও স্কুল মাঠে মিলছে দেশীয় ও চাষ করা পুকুরের মাছ। এতে কিছু উৎসুক জনতা আনন্দণ্ডউল্লাসের সঙ্গে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমন এক মাছ শিকারি সাগরদিঘি এলাকার মো. জাকির হোসেন বলেন, পানি বেশি হওয়ায় পুকুর থেকে ভেসে আসা তেলাপিয়া, রুই, কাতল ও সরপুঁটি মাছ বেশি পেয়েছি। সকাল থেকে সারা দিনে ৭-৮ কেজি মাছ ধরেছি। সড়ক ডুবে পানি প্রবাহিত হওয়া স্রোতে জাল ফেলে হঠাৎ মাছ ধরতে খুব আনন্দ উপভোগ করছি। কৃষকরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টিতে যে পরিমাণ পানি হয়েছে বছরের মধ্যে এমন পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। এমন পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও টানা বৃষ্টির কারণে সবজি খেতও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এদিকে উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় ভারি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় দুই শতাধিক পুকুর। এতে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জোড়দিঘি এলাকার মাছ চাষি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি এ বছর ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরে মাছ চাষ করেছিলাম। মাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। অতি বৃষ্টিতে পুকুর তলিয়ে মাছ লোকালয়ে ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. খাদিজা জানান, ভারি বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কতটি পুকুর ডুবেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে দুই শতাধিক পুকুর ডুবতে পারে।