ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পলিথিন ব্যবহারে পরিবেশ বিপর্যয়

পলিথিন ব্যবহারে পরিবেশ বিপর্যয়

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মোড়কে প্রতিদিনই পলিথিন এবং প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিন। পলিথিন ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে ঈশ্বরদীর পরিবেশের ভারসাম্য। ফসল উৎপাদনে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। নিষিদ্ধ পলিথিন শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, দেশের কৃষিকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কয়েকজন কৃষিবিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মাঠঘাট, খালবিল, নদী, ডোবা, কৃষিজমি সর্বত্র সয়লাব অপচনশীল বিপজ্জনক পলিথিনে। এসব পলিথিন মাটি বা পানিতে অপচনশীল অবস্থায় থাকছে শত শত বছর। শিকড় বিস্তার করতে পারছে না গাছ। পরিবেশে পড়ছে নানা রকমের প্রভাব। অপচনশীল বিপজ্জনক পলিথিন ড্রেন, রাস্তাঘাট, মাঠে-ময়দানে, নদীনালা, খালবিল এবং ফসলের মাঠে ফেলার কারণে মাটিতে অপচনশীল পলিথিন থাকায় উর্বরতা হারিয়েছে মাটি। ঝুঁকির মুখে সব ধরনের ফসল উৎপাদন। ঈশ্বরদীতে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অবৈধ্য পলিথিন ফ্যাক্টারিতে অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না কারখানা। পলিথিনের পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যবহারও বেড়েছে। প্লাস্টিক বোতলের একটি অংশ রিসাইকেল হলেও পলিথিন সবটাই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বাতাসের মাধ্যমে পরিবেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। পলিথিনের ভয়ঙ্কর দূষণ জনস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে ক্রমাগত। শহরের বাসাবাড়ির ময়লা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্তু সারাদিন পথে ঘাটে চিপস, চানাচুর, বিস্কুটের প্যাকেট পরিবেশেই ছড়িয়ে পড়ে। যত্রতত্র এসব পলিথিন রাস্তায় না ফেলার জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন রাখা হলেও সেদিকে নজর নেই কারো। গ্রামের ক্ষেত্রে গ্রামে তো ময়লা সংগ্রহই করা হয় না। এজন্য গ্রামে বাসাবাড়ি ও হাট-বাজারের আশপাশের জমিতে তেমন ফসল হয় না। অপচনশীল সর্বনাশা পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে নগরের পনি নিষ্কাশনেরর ড্রেনেজব্যবস্থা। রাস্তায় ফেলা পলিথিন বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনে ঢুকে পড়ে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। অপর দিকে পরিবেশের পাশাপাশি পলিথিন বর্জ্যরে কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে মাটি, দেশের কৃষিকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই নিশিদ্ধ পলিথিন। মানুষের অসচেতনতা এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও দেশের কৃষিকে আরো সমৃদ্ধি করতে পলিথিনের বিকল্প ব্যবহার অতিব জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত