ঈশ্বরগঞ্জ মৎস্য অফিসে ছয় পদের ৫টিই শূন্য

সেবা প্রদান ব্যাহত

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জনবল সংকটে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উপজেলা মৎস্য অফিসের?

দপ্তরের ৬ পদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৎস্যচাষি ও অন্যান্য অংশীজনরা সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকাকালীন সময়ে বিকল্প কোনো জনবল না থাকায় পরামর্শ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের। একমাত্র কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে সেবা দিতে গেলে অফিস কক্ষ থাকে বন্ধ। এ ছাড়া দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডেও গতি হ্রাস পেয়েছে বলে জানান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মৎস্য খাতকে ত্বরান্বিত করতে চাষিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এলেও শুধু জনবল সংকটের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে মৎস্য বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারেন্টজাল অবৈধভাবে সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা পোহাতে হয়। জনবল কমের কারণে অভিযান পরিচালনাও আগের থেকে কমে গেছে। প্রাকৃতিকভাবেই উপজেলাটির মাটি ও পানি মাছ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। উন্নত মানের মাছ উৎপাদনে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে উপজেলা মৎস্য বিভাগকে। উপজেলার সোহাগি ইউনিয়নের মৎস্য চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে মাছের খামারের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি মাছ উৎপাদনও হয় আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো। কিন্তু মৎস্য অফিসের লোকজনকে সময়মতো আমরা পাই না। যার ফলে মাছের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচুর বেগ পোহাতে হয়’। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী, অফিস সহকারী-কামণ্ডকম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক যথাক্রমে ১টি করে পদশূন্য রয়েছে। ফলে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব ও ব্যাহত হচ্ছে। সংকট ও সমস্যার কথা স্বীকার করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেল বলেন, জনবল সংকটের কারণে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এই জনবল দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কভারেজ দেওয়া যায় না। জনবল সংকটে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সাহা জানান, জনবল সংকটের ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। জনবল সংকট নিরসনে এরই মধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।