পেঁয়াজ চাষে ৫ কোটি টাকা আয়ের আশা

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো বেডে বীজ রোপণ পদ্ধতিতে পেঁয়াজচাষ শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উচ্চ ফলনশীল জাতের নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করছেন। এ মৌসুমে ১২৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই জাতের পেঁয়াজের ফলন ও গুণগত মান শীতকালীন পেঁয়াজের মতোই। রোগবালাই কম। গরম সহনশীল ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলন বৃদ্ধি পায়। অল্প সময়ে লাভজনক চাষ হওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার পরপরই ভুট্টার আবাদ শুরু করবেন তারা। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার ১২০০ কৃষক এই প্রণোদনা সুবিধা পান। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে জমি প্রস্তুতের পর কৃষকরা বেডে বীজ রোপণ করেন। বীজ বপনের পর বিচালি বিছিয়ে দিতে হয় বৃষ্টির পানিতে যেন নষ্ট বা ধুয়ে না যায়। বীজ রোপণের ৪৫ দিন পর গাছে পেঁয়াজের গুটি আসতে শুরু করে। নিয়মিত পরিচর্যায় ৯০ দিনের মাথায় পেঁয়াজ পূর্ণতা পায় এবং বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়। এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ পেঁয়াজ। সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ করেন। প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বীজ, সার, কীটনাশক, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বেডে বীজ রোপণ পদ্ধতিতে এ পেঁয়াজ চাষ করা হয়। মাটির ওপরে গাছে থোকায় থোকায় পেঁয়াজ ধরে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পেঁয়াজের ফলন, উৎপাদন ও মানও যথেষ্ট ভালো। দেশে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করতে পারলে আমদানিনির্ভরতা হ্রাস পাবে ও সংকট দূর হবে।

কৃষি বিভাগ বলছে, এই জাতের পেঁয়াজ চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫-১৭ হাজার টাকা। খরচও তুলনামূলক কম। প্রতি বিঘায় ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। প্রতি মণ পেঁয়াজের বাজার দর ২ হাজার ২০০ টাকা প্রায়। ১২০০ বিঘা জমি থেকে এ মৌসুমে ১২৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার সুযোগ-সুবিধা কৃষকরা প্রথমে নিতে আগ্রহী ছিলেন না।