প্রাথমিকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান করানো হবে : প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, আমরা শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে লেখাপড়া করাতে চাই। হাসিখুশির মধ্যে বাচ্চারা লেখাপড়া করবে। আমরা তৃতীয় পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছি। নানান ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন ধাপে কারিকুলাম চালু করেছি। এ কারিকুলামে আগামীতে লেখাপড়া হবে। আমরা শিক্ষকদের মান বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সচেতন। যেসব ভবন অকেজো রয়েছে, তা এগুলো সুন্দরভাবে করে স্কুল করার পরিকল্পনা করেছি। গতকাল সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার ও শিক্ষার্থী কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে করোনার কারণে আমরা স্কুলগুলো বন্ধ রেখেছিলাম। এ সুযোগে কিছু মাদ্রাসা স্কুলগুলোর কাছাকাছি স্থাপন হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী টানছে। বিশেষ করে এলাকার সবাই কর্মব্যস্ত মানুষ। অভিভাবকরা কর্মব্যস্ততায় থাকায় সন্তানকে একা রাখতে না পারায় তাদের মাদ্রাসায় দিয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তি করে আনা দুপুরের খাবার দেখেই অনেকেই সেখানে আকৃষ্ট হচ্ছে। আমরা স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল চালু ছিল তা নানা কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন মিড ডে মিল চালু হয়ে যাচ্ছে। তাতে কিছুটা উপকার হবে। পাশাপাশি আমরা নতুনভাবে পরিকল্পনা করছি স্কুলগুলোতে কীভাবে বাচ্চাদের ফিরিয়ে আনা যায়। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের মুজিব কর্নার ও শেখ রাসেল কর্নার, রিসোর্স সেন্টার, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান প্রত্যক্ষ করেন। তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের শিখন দক্ষতা যাচাই করতে পাঠ্যবাস থেকে প্রশ্ন করেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের মেধা, বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রাথমিক রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) কনক কুমার দাস, জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোখলেসুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল, তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মতিউর রহমানসহ শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।