ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে চলে জিয়াউলের সংসার

হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে চলে জিয়াউলের সংসার

হাওয়াই মিঠাই। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি মিঠাইয়ের নাম। গ্রামের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তবে এখন আর আগের মতো এটি চোখে পড়ে না। এই মিঠাই নিমিষেই হাওয়ায় বিলিন হয়ে যায় বলে নাম ‘হাওয়াই মিঠাই’। বানানোর সঙ্গে সঙ্গে খেতে হয় এটি। পেট ভরে না এ মিঠাইয়ে, তবে খেতে মিষ্টি। মুখের স্বাদ মেটায় শুধু। দেখতে অনেক বড়সড় মনে হলেও নিমিষেই এটি মুখের ভেতর এসে গলে যায়। গ্রামের শিশুরা এই মিঠায়ে বেশি আনন্দ পায়। বড়রাও এর স্বাদ থেকে পিছিয়ে থাকেন না। দাম কম হওয়ায় সবার আগ্রহ থাকে এই মিঠাইয়ের প্রতি। ৩৬ বছরের বেশি সময় ধরে জিয়াউল হক হাওয়াই মিঠাই বিক্রিই করছেন। নিজ বাড়িতে তৈরি করেন গ্রমি বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খাবার। লাভ অল্প হলেও গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে ক্ষুদ্র এ ব্যাবসাটি ধরে রেখেছেন তিনি। লাঠির মাথায় ঝুলানো স্বচ্ছ কাচের বাক্স কাঁধে আর হাতে ঘণ্টি নিয়ে সকাল হলেই বের হয়ে পড়েন তিনি। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের দুলার ভিটা। সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরস্থ ফ্রেন্ডস এবিআরএস শিবরাম আদর্শ বিদ্যাপীঠের গেটের সামনে দেখা হয় জিয়াউল হকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, অন্য পেশায় বেশি লাভজনক হলেও ছাড়ছে না মিঠাই বিক্রির কাজ। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে এ কাজটি করে যাচ্ছেন তিনি। জিয়াউল হকের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার হাওয়াই মিঠাই তৈরির যন্ত্র। একটি কাঠের ফ্রেমের ওপর স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি গোলাকার একটি পাত্রের একপাশে একটি সাইকেলের প্যাডেল আকৃতির হ্যান্ডেল। তার ওপর ভর করে ঘুরছে গোলাকার একটি চাকতি। স্থানীয় বাজার থেকে চিনি কিনে তার সঙ্গে কয়েক প্রকার রঙ মেশানো হয়। অল্প পরিমাণে জাফরান মিশিয়ে তৈরি হয় লাল আর হলুদ রঙের মিঠাই। আর সাদা চিনি দিয়ে তৈরি হয় সাদা রঙের মিঠাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত