ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইলিশ ধরা বন্ধ

দাম বেড়েছে অন্যান্য মাছের

দাম বেড়েছে অন্যান্য মাছের

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় শরীয়তপুরের পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে দেখা মেলেনি জাতীয় এই মাছের। বাজারে ইলিশ না থাকায় অন্য মাছের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। সরেজমিন মৎস্য আড়ৎদার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। গতকাল শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কোরাল, চিতল ৫৫০-৬৫০ টাকা, সুরমা ২৫০-৩৫০, চিংড়ি ৮০০-১১০০ টাকা, পাঙাশ চাষের ২৫০-৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০-৬৫০ টাকা, কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা ও পাবদা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নদীর মাছ বাজারে খুবই কম। এর কারণ হিসেবে জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশ ধরা বন্ধে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। এতে নদীতে মাছ ?ধরতে যাচ্ছেন না জেলেরা। ফলে অন্য মাছও বাজারে কমে গেছে। ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা ইমন বেপারি বলেন, এখন আগের চেয়ে সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবহন খরচ, বাজারে আড়ৎদারিও বেড়েছে। আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মার মাছ পাইকারি বাজারে আসছে না। শরীয়তপুরের সদর পালং বাজারের মাছ বিক্রেতা রাব্বী হোসেন বলেন, গত বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন অন্যান্য মাছ বিক্রি করছি। এ ২২ দিন নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলে সামনে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন দামও কিছুটা কম থাকবে। তবে এ কয় দিন চাষের মাছগুলোই নিতে হবে ক্রেতাদের। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাজারে নদীর মাছ না থাকায় ঘেরের ও বিলের মাছের দাম প্রায় দিগুণ হয়েছে। এত চড়া দামে মাছ কিনে খাওয়া আমাদের মতো অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ছুটির দিনে পালং বাজারে মাছ কিনতে এসে মাছের দাম বৃদ্ধি দেখে মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরছেন রহমত উল্লাহ্ নামে এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি বলেন, অভিযানের অজুহাতে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা সব মাছের মনগড়া দাম চাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান করতে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করা দরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত