ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুজিব বায়োপিক দেখতে সিমেনা হলে মানুষের ঢল

মুজিব বায়োপিক দেখতে সিমেনা হলে মানুষের ঢল

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখতে সিনেমা হলে সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রযোজিত সিনেমাটি দীর্ঘদিন প্রচার প্রচারণা ও প্রিমিয়ার শো শেষে গত শুক্রবার সারা দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। এদিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সোনালি সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি প্রচারিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবিটি দেখতে জুম্মার নামাজের পর থেকে সেখানে ভীড় জমায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ। এরপর সিনেমা হলে সপরিবারে উপস্থিত হন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান এবং ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদসহ স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই দুই দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরিফিন শুভ এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে দেখা গিয়েছে নুসরাত ইমরোজ তিশাকে।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা গিয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে। প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী তানজিমুর রহমান বলেন, জাতির পিতার জীবনী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান সম্পর্কে পাঠ্য বইয়ে অনেক কিছুই পড়েছি। তবে আজ তার প্রতিবিম্ব দেখলাম। মনে হলো আমি শত বছর আগে ফিরে গিয়ে তার জীবনী এবং বাংলাদেশের ইতিহাস দেখে আসলাম। সিনেমাটি দেখা শেষে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার একেবারে ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা এবং একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সব কিছু ফুটে উঠেছে এই বায়োপিকে। চলচ্চিত্রটি একটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত