ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

থামছে না অপচিকিৎসা

থামছে না অপচিকিৎসা

শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে হায়বাতপুর মোড়, নওয়াবেঁকী, কাশিমাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, বংশীপুরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ৪০টির মতো বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দক্ষ ডাক্তার নার্স ছাড়াই এসব পরিচালনা হচ্ছে। যার অধিকাংশেরই নেই রেজিস্ট্রেশন। কারো কারো থাকলেও ২০১৯-২০ সালের পর আর নবায়ন হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাইনবোর্ড থাকলেও তাদের দেখা মেলে না। একই ডাক্তাদের নাম প্রায় সবগুলো ক্লিনিক ও হাসপাতালের সাইনবোর্ডে দেখা যায়। রোগী ধরতে এমন ফাঁদ পাতা হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। প্রতিটা হাসপাতালে অন্তত একজন এমবিবিএস ডাক্তার ও তিনজন ডিপ্লেমা নার্স থাকা বাধ্যতামূলক থাকলেও তা কারো আছে বলে মনে হয় না। শ্যামনগরের সব ক্লিনিক অবৈধভাবে চলছে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। যেসব নিয়মণ্ডকানুন রয়েছে তা না থাকায় অভিযান পরিচালনার নির্দেশ থাকলে কোনো অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে মাথাব্যথা প্রশাসনের নেই। সম্প্রতি দুটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। বৈধতা না পেয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোর অভিযান অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শ্যামনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কে রয়েছে রিডা প্রাইভেট হাসপাতাল, মর্ডান ক্লিনিক, হায়বাতপুর রয়েছে সুন্দরবন অ্যাপোলো হাসপাতাল, সেবা ক্লিনিক, সিদ্দিক উকিলের বাড়ি রয়েছে প্রেগনেন্ট কেয়ার নামের একটি অ্যাবর্শন সেন্টার, সুন্দরবন ক্লিনিক, নওয়াবেঁকী প্রযুক্তি নাসিং হোম, শামীমা ক্লিনিক, কাশিমাড়ী রয়েছে কাশিমাড়ী নার্সিং হোমসহ অন্তত ১৫টির মতো অবৈধ ক্লিনিক ও ২০টির মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যার কোনোটির অনুমোদন না থাকলেও চলছে অবাধে। বিভিন্ন ডাক্তার সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা বা ঢাকা থেকে এসে অপারেশন করছে। ক্লিনিকগুলোর নিজস্ব কিছু লোক রয়েছে যারা গ্রামে নিযুক্ত কোনো রোগীর পেট ব্যথা হলে তারা হাজির হয়ে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে আসছে এবং অপারেশন করাতে বাধ্য করছে আর হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতিনিয়ত সিজার ছাড়া আরো অন্যান্য অপারেশন করছে এসব ক্লিনিকে এবং অপারেশনস্থলে পচন ধরে রোগীও মারা যাচ্ছে। এমন অভিযোগ অহরহ। ডাক্তারের কাছে কোনো রোগী গেলে কয়েক হাজার টাকার পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তা থেকে অর্ধেক কমিশন নিচ্ছে ডাক্তাররা এমন অভিযোগ অহরহ। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, শ্যামনগরে কারো ক্লিনিকের বৈধতা নেই বার বার অভিযান দিচ্ছি তার পর ও আবার খুলতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, সম্প্রতি অভিযানে কয়েকটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে, বাকিগুলো অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত