ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তরের জনপদে শীতের বার্তা

উত্তরের জনপদে শীতের বার্তা

ভোর থেকে শিশির ঝরা আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা সকাল। এরপর প্রভাতের সোনা রোদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে হেমন্তকাল। এমন অপূর্ব দৃশ্য হিমালয়ের পাদদেশঘেঁষা ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরের জনপদগুলোতে। ভোর থেকে টুপটাপ শব্দে ঝরছে শিশির বিন্দু আর দূর্বাঘাসের ডগায় মুক্তো দানার মতো জ্বল জ্বল করছে শিশির। শিশির বিন্দু যেন প্রকৃতির জমিনে টিপ পরিয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল কুয়াশার আবহের গ্রামাঞ্চলের পথ-ঘাট। পাখির কলকাকলী আর সোনা মাখা রোদ যেন বলে দিচ্ছে হেমন্তের বার্তা। হেমন্তের স্নিগ্ধ সকাল প্রকৃতিজুড়ে সৃষ্টি করেছে নতুন আবহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পথ-ঘাট, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। ফসলের মাঠ সেজেছে নতুন সাজে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে পাকা ধানের সোনালি আভা ছড়িয়ে দিচ্ছে আলো। শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মাহমুদ হাসান বলেন, সকালে পুরো এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। রাতের প্রথম দিকে ফ্যান চালালেও মধ্যরাতের পর কাঁশা গায়ে দিতে হচ্ছে। আর ভোর থেকে টিনের চালে টুস-টাস শব্দে শিশির বিন্দু পড়ছে এতেই বোঝা যায় শীত আসছে এই জেলায়। হেমন্তের হাত ধরেই আসে শীত। তাই প্রকৃতিতেও ফুটে উঠেছে নানা বৈচিত্র্য। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। প্রকৃতি প্রেমী, শিশু-বৃদ্ধরাও এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পিছিয়ে নেই। সেই টানে ছুটে আসছেন অনেকেই। সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের লিটন ইসলাম প্রকৃতিতে সবুজের সমারোহ করতে নারগুন স্কুলের চারপাশে বিভিন্ন ফুল ফলের গাছ রোপণ করেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে শিউলী ফুল, বকুল ফুল, মালতি ফুলসহ নানা জাতের ফুলের গাছ। তারই লাগানো শিউলী ফুল গাছে ফুটেছে ফুল। আর তা দেখতে আর ফুলে ঘ্রাণ নিতে ছুটে আসছেন অনেকই। সকাল হলেই বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসছে ফুল কুড়াতে। ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা দবিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার ফর থেকে শিউলী ফুল ফোটে। সারা রাত এই ফুলের গাছ ফুলে ফুলে সাদা হয়ে যায়। সকাল হলেই ফুল ঝড়ে যায়। শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সিরা আসে ফুল নিয়ে যায়। মালাও গাঁথে অনেকেই। কবি সাহিত্যিকরা বলছেন- জলবায়ু পরিবর্তনে দিন দিন নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে চির চেনা হেমন্ত। ভাটা পড়েছে উৎসবেও। তাই ঐশ্বর্যের এই ঋতুকে ধারণ করে মনোজগতের চর্চা বাড়ানোর আহ্বান সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত