ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে

ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে

ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আর এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত কয়েকদিনে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার পাঁচগুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল হাসপাতালের শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডের ভেতর জায়গা না হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীদের নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছেন অভিভাবকরা। ওয়ার্ডের ভেতর রাউন্ডে থাকা চিকিৎসকের সেবা নিতে রোগীর স্বজনরা শিশুদের কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। নাছরিন নামে এক শিশু রোগীর অভিভাবক বলেন, শয্যা সংকটে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে। এতে সুস্থ হওয়ার বদলে আরও বেশি সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল জানান, শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ২৬টি। অথচ ভর্তি আছে ১৩৫ জন। তবে রোগীর তুলনায় শিশুচিকিৎসক অপ্রতুল। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে এত রোগীর চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এরমধ্যে হাসপাতালের স্ক্যানু বিভাগও চালু রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। তবে শিশু রোগীদের নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিশুচিকিৎসকের সংকট মেটানোর কথা বললেও কোনো সুফল পাচ্ছি না। হাসপাতালের শিশু বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্যামলী রাণী বলেন, গত কযেকদিন ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এত রোগীর চাপ সামাল দেওয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর। কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, জ্বর, সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে নতুন করে ‘হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ’ নামে নতুন আরেকটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালের আরএমও আসিফ ইকবাল বলেন, ওয়ার্ডে শয্যা আছে ২৬টি অথচ ভর্তি থাকে ১০০-এর বেশি। হাসপাতালে রোগী এলে ফিরিয়ে দেওয়ার যেহেতু সুযোগ নেই, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত