ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ রাসেল নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকারের প্রতীক

মাহবুব-উল-আলম হানিফ
শেখ রাসেল নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকারের প্রতীক

কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, শেখ রাসেল পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সন্তানই নয়; ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতা লঙ্ঘনের প্রধান সাক্ষী হিসেবে থাকবে। গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ আয়োজিত শেখ রাসেল দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। হানিফ আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে ক্ষমতা দখলের জন্য সরকারপ্রধানকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোথাও নারী ও শিশুসহ পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার ঘটনা ঘটেনি। পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে চরম মানবতা লঙ্ঘন হয়েছিল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধে শিশুরা হতাহত হয়েছে। বোমা হামলায় শিশুরা মারা গিয়েছে। কোনো পক্ষই সরাসরি গুলি করে শিশু হত্যা করেনি। কতবড় নিষ্ঠুর পৈশাচিক মানসিকতা হলে শিশুকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা যায়! হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি করে বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই কাজ করেছিলেন। আর আজ বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার মানবতা লঙ্ঘন করছে। কোথায় মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ বিএনপি নামক দলের কাছ থেকে মানবতার কথা শুনতে চায় না। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পৃষ্টপোষক ছিল জিয়াউর রহমান। বিএনপি নেতাদের মুখে মানবতার কথা বলার নৈতিক অধিকার থাকতে পারে না। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে পৃথিবীর কোনো স্বাধীন দেশে এ ধরনের বিভক্ত জাতি দেখা যায় না। সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভক্তি দূর করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ার। সরকারের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করলাম। এরপর ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, শুরু হলো আন্দোলন। বেগম খালেদা জিয়ার নামে হওয়া দুর্নীতির মামলা বিচার বন্ধের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হলে গোটা বাংলাদেশে তাণ্ডব চলল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সংঘাত করেছিল। ২০১৫ সালে অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। ২০২০ সালে মহামারি করোনা ও এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত ছিল। এরপরও শেখ হাসিনা জীবন জীবিকার সমন্বয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। হানিফ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অজস্র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত