ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় ধানের দাম বেড়েছে মণে ৫০ টাকা

নওগাঁয় ধানের দাম বেড়েছে মণে ৫০ টাকা

নওগাঁয় হাটে ধানের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি মণে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে গোলায় ধান না থাকায় ধানের দাম বাড়লেও খুশি নন কৃষকরা। জেলার মান্দা উপজেলার সতিহাট ও মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর হাট ও চকগৌরি হাট ঘুরে ধানের দাম বাড়ার বিষয়টি জানা যায়। গতকাল চকগৌরি ছিল সাপ্তাহিক হাট বার। এ দিন হাট ঘুরে জানা যায় প্রতি মণ ধানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে বোরো মৌসুমের ধান জিরাশাইল ১৩০০ থেকে ১৩৩০ টাকা, কাটারিভোগ ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা, সুভলতা ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ব্রিআর-২৮ জাতের ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা।

এছাড়া চলতি আউশ মৌসুমের ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৬ ও ২১ জাতের ধান ৯৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মন। বোরো মৌসুমে ধারদেনা করে কৃষক ধানের আবাদ করেন। এরপর ধান কাটা-মাড়াই করে ধারদেনা পরিশোধের জন্য বিক্রি করতে হয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন চাষিরা। তবে কিছু দিন ধান গোলায় রাখতে পারলে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হতেন। বর্তমানে খুবই কম পরিমাণ কৃষকের ঘরে ধান আছে। দরিদ্র কৃষকরা আগেই ধান বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে বাজারে ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে আমন মৌসুমের ধান বাজারে আসলে দাম আবারও কমবে। উপজেলার মহেষপুর গ্রামে কৃষক সনজিত বলেন, বোরো মৌসুমে চার বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। ওই সময় জিরাশাইল ধান ১১৫০ টাকা মন দরে বিক্রি করে দোকান বাকিসহ ঋণ পরিশোধ করা হয়েছিল। বাড়িতে খাবার জন্য কিছু ধান রাখা ছিল। প্রয়োজনে ১ মন ধান ১৩৩০ টাকা মন দরে বিক্রি করলাম। ধানের দাম বেড়েছে। কিন্তু ঘরে তো এখন ধান নেই। এখন বিক্রি করতে পারলে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হতে পারতাম। চকগৌরি হাটের ধান ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, চকগৌরি হাট ভোর থেকে শুরু হয়ে চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। কৃষকদের ঘরে ধানের পরিমান কম থাকায় হাটে ধানের সরবরাহ কমেছে। তবে কিছু বড় কৃষকদের ঘরে ধান রয়েছে তারা হাটে বিক্রির জন্য আসছে। সরবরাহ কম থাকায় প্রতি মণ ধানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে এ হাটে প্রায় দেড় হাজার মনের মতো ধান সরবরাহ হচ্ছে। তবে মৌসুমে এ হাটে প্রায় দ্বিগুণ ধান সরবরাহ হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত