ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাখির বাবা-মা হলেন ঝিনাইদহের এক দম্পতি

পাখির বাবা-মা হলেন ঝিনাইদহের এক দম্পতি

ভালোবাসার বহু নজির পৃথিবীতে আছে। তবে তা হয়ে থাকে সাধরাণত স্ব-জাতিতে। কিন্তু পাখি ও মানুষের এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল ঘটনা। সন্তানের মতো বড় হচ্ছে সান ও এলেক্স। এই সান-কুনুড় জাতের উত্তর আমেরিকার জোড়া টিয়ার পিতা-মাতা হয়েছে ঝিনাইদহের এক দম্পতি। এমন বিরল ঘটনায় সত্যিই যে কেউ অভিভূত না হয়ে পারবে না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রামের আক্তারুজ্জামান-ফারিয়া দম্পতির বাড়ি। বাড়িতে ঢুকেই আকস্মিক ঘটনা দেখে থমকে যেতে হয়। উত্তর আমেরিকার দুই টিয়া পাখি সান-কুনুড় জাতের। পাখি দুটির মা-বাবা হয়েছে তারা। পরম মমতায় বেড়ে উঠছে জোড়া টিয়া। ভালোবেসে নাম দেওয়া হয়েছে সান ও এলেক্স। এ গাছ ও গাছে যাচ্ছে আবার তাদের মা ফারিয়া ডাকা মাত্র ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে আসছে। কখনো তার গাড়ে, কখনো তার মাথায় আবার কখনোবা হাতে সময় কাটাচ্ছে তারা। মাত্র ৮ মাস বয়সি সান-এলেক্সকে নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান পুরো গ্রাম। এমন আশ্চর্যজনক ভালোবাসা দেখে সবাই থমকে যায়। মো. আফজাল হোসেনের ছেলে আক্তারুজ্জামান। তার কম্পিউটারের নিজস্ব দোকান আছে ঝিনাইদহের নগরবাথান বাজারে। সখের বশে তিনি পাখি পোষেন। গত ৮ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে মাত্র ২৪ হাজার টাকা দিয়ে এক জোড়া সান-কুনুড় জাতের টিয়া কিনেছিলেন। তখন তাদের চোখ ফোটা-ফোটা ভাব। সেই থেকেই তাদের সঙ্গে খায়, ঘুরে বেড়ায়, গোসল করে এ জোড়া টিয়া। আক্তারুজ্জামান বলেন, ওদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ। ওরা আঙ্গুর, আপেল এমনকি ভাতও খায়। আবার ঘুমায়ও আমাদের সঙ্গে। সকাল থেকে রাত অব্দি চলে বহু কিছু। গ্রামের কামাল মিয়া জানান, ঘটনা সত্যিই বিরল। আমাদের এখানে এই প্রথম দেখলাম। অবাক করা ঘটনা। অবলা জীব পাখি কীভাবে সন্তানের মতো ভালোবাসছে মানুষকে। এই হানাহানির যুগে এমন ভালোবাসা দৃষ্টান্ত। আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী ফারিয়া আক্তার রিয়া জানান, ওরা আমার ভাষা বোঝে। কথার আকার ইঙ্গিতও বোঝে। ওরা আমার সন্তান। ওদের ছাড়া যেমন আমি থাকতে পারি না তেমনি ওরাও আমাদের ছাড়া থাকতে পারে না। বেশিরভাগ সময় ওরা আমার হাতে, মাথায়, ঘাড়েই সময় কাটায়। আমি ওদের মায়ের আদর-ভালোবাসা-স্নেহ দিয়ে বড় করছি। এই দম্পতির আরো ৪ জাতের ২০টি বিদেশি টিয়া পাখি রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত